আমি মানুষের ক্ষমতার কাছে মাথা নত করতে রাজি কিন্তু ক্ষমতায় থাকা মানুষের কাছে মাথা নত করব না। সোমবার মাথা উচুঁ করেই ইডির দফতরে যাব। ওদের সব প্রশ্নের উত্তর আগেও দিয়েছি আবারও দেব। যারা রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগায় তাদের কাছে মাথা নত করব না। দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দৃপ্ত কন্ঠে জানিয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)।
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এদিন ছিলেন রীতিমতো বিস্ফোরক। তাঁর কথায়, আমি দেড় বছর আগেও যা বলেছি এখনও বলছি আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো যোগসাজশ বা ১০ পয়সার লেনদেন প্রমাণ করতে পারে, আমায় ইডি সিবিআই দিয়ে ডাকতে হবে না। একটা ফাঁসির মঞ্চ করে দেবেন আমি নিজে গিয়ে মৃত্যু বরণ করব৷ একইসঙ্গে তাঁর ঝাঁঝালো প্রশ্ন, যদের টিভির পর্দায় কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গেছে, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী সহ সবকটি তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাঁর কাছ থেকে কারা কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেছে। তাদের ইডি- সিবিআই ডাকছে না। এদের মধ্যে কেউ আজ অসমের মুখ্যমন্ত্রী কেউ বা বাংলার বিরোধী দলনেতা। এদের বেলায় তদন্তকারী সংস্থার চোখে ছানি পড়ে।
আরও পড়ুন – রবিবাসরীয় প্রচারে মাতিয়ে দিলেন বাবুল, অধিকারী ও দিলীপকে নিশানা
বিজেপিকে তোপ দেগে অভিষেক (Abhishek Bandyopadhyay) বলেন, আমি দিল্লি হাইকোর্টে জুরিসডিকশন চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, কলকাতার কেস কিন্তু আমায় দিল্লিতে কেন ডেকে পাঠাচ্ছে। কলকাতার ইডির দফতরে আমি হাজিরা দেব। যতবার ডাকবে যাব। কিন্তু গত বছর আগস্ট মাস থেকে সেই শুনানি ঝুলিয়ে রাখা হল। এবছর পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আমার আবেদন খারিজ করে জানানো হল দিল্লিতে ইডির দফতরে যেতে হবে। এটাই যদি করার ছিল তাহলে এতদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখলেন কেন? মামলা শুনলেন কেন? চারদিন আগেই আমার চোখে একটা অস্ত্রপচার হয়েছে। ডাক্তারবাবুররা আমায় সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে বলেছে তা সত্ত্বেও আমি দিল্লি যাচ্ছি। কারণ বাংলার মানুষের মতো আমিও মাথা নত করব না৷ যদিও সর্বোচ্চ বিচার ব্যবস্থার ওপর আমর আস্থা ভরসা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার রাস্তাও আমার খোলা রয়েছে।
এদিন অভিষেক ছিলেন রীতিমত আক্রমণাত্মক মুডে। তীব্র কটাক্ষের সঙ্গে তিনি বলেন, আসলে বজেপিকে আমরা বাংলার মানুষ গোহারা হারিয়েছে। বহিরাগতদের বাংলা থেকে বের করে দিয়েছে৷ ওদের আমরা ল্যাজেগোবরে করেছি। তাই ওদের গায়ে জ্বালা লাগছে। ওরা চায় আমরা মেরুদন্ড বিক্রি করে দিই। কিন্ত আমরা তা করব না। যত রক্ত দিতে হয় দেব। যতদূর যেতে হয় যাব। এ লড়াই চলবে। মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। আমি মাথা উচুঁ করেই ইডির দফতরে যাব। এর আগেও আমাকে ওরা ১০ ঘণ্টা জেরা করেছে। যা তথ্য জানতে চেয়েছে সব বলেছি। সোমবার আবার যা জানতে চাইবে বলব। যা তথ্য চাইবে দেব। দেড় বছর ধরে তদন্ত চলছে। নতুন তো নয়।