প্রতিবেদন : হুগলি থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্দার দিদি নম্বর ওয়ানকে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভরসার দাম দিয়েছে হুগলিবাসী। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই কিস্তিমাত করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপুল ভোটে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-কড়া স্বাস্থ্য দফতর, নিগৃহীতা নাবালিকার চিকিৎসায় জারি হল একগুচ্ছ নির্দেশ
গত ভোটে জেতার পর থেকে বিজেপি প্রার্থীকে তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রে তেমনভাবে দেখা যায়নি বলে এলাকায় ক্ষোভ জন্মেছিল। এমনকী পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল লকেটকে। তাঁর নামে নিখোঁজ পোস্টারও পড়ে বহু জায়গায়। এছাড়াও বিজেপির আরও বড় মাথাব্যথার কারণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে লকেট নিজের নাম নিজেই ঘোষণার পরেই দলের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাই এবার রচনা বন্দোপাধ্যায়কে তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকেই কিছুটা হলেও হুগলিতে পদ্মপ্রার্থী ব্যাকফুটে ছিলেন। শেষমেশ ‘জনতা জনার্দন’-এ বিশ্বাসী রচনাই জয়ের হাসি হাসলেন। জয়ী প্রার্থীর কথায়, জয়ই জবাব। নতুন করে কিছু বলার নেই।
আরও পড়ুন-ভোট মিটতেই বঞ্চিতদের মাথায় পাকা ছাদের ব্যবস্থা, উদ্যোগী রাজ্য
যে মধুর হাসি মুখে নিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন রচনা, সেই হাসি মুখে নিয়েই এবার হুগলি সামলাবেন তিনি। নতুন দায়িত্ব কাঁধে পেতে কি পুরনো দায়িত্বকে ভুলবেন? রাজনীতির ব্যস্ততার চাপে পড়ে কি ‘দিদি নাম্বার ১’ শো-কে বিদায় জানাবেন? অনুরাগীদের মনে হাজার প্রশ্ন। তাহলে কি বন্ধ হয়ে যাবে এই জনপ্রিয় শো? এই সংশয়ে যখন ভুগছেন অনুরাগীরা তখনই কৌতূহল নিরসন করলেন রচনা। রচনা জানিয়েছেন, রাজনীতিক হিসেবে ব্যস্ততা তো বাড়বেই। তবে দিদি নাম্বার ওয়ান এবং এই নতুন দায়িত্ব সামলাতে তেমন অসুবিধা হবে না। দু’দিকেই সমান দায়িত্ব পালন করব। গত কয়েক মাসে একদম সময় দিতে পারিনি ছেলেকে। জেতার পর আমাকে বলেছে, ‘মা, আমাকে এবার সময় দেবে’। ওকে নিয়ে ঘুরতে যাব আগে।