প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। সোমবার নেতাজি ইনডোরে তাঁদের বিকল্প দিশা দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে চাকরিহারারা সাফ জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখছেন। দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসবেন না তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মেনে তাঁরা যেমন স্কুলে যেতে এককাট্টা, তেমনই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়েও প্রত্যয়ী। চাকরিহারা যোগ্য প্রার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে মেহবুব এদিনের সভায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, এই গোটা প্রক্রিয়া চলাকালীন যোগ্য চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না বরখাস্তের চিঠি। নতুন করে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা যাবে না।
আরও পড়ুন-বিজেপি-সিপিএম ষড়যন্ত্র: ৯-১১ এপ্রিল কলকাতা ও জেলায় ছাত্র-যুবর প্রতিবাদ
তাঁর সাফ কথা, আমরা কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই। তা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের চাকরি গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। সাত বছর আগে পরীক্ষা দিয়ে আমরা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছি। যিনি সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার কপি দিয়েছেন, তিনিও এতবছর পর পরীক্ষা দিলে হয়তো পাশ করতে পারবেন না। তাই দ্বিতীয়বার আমরা পরীক্ষা দিতে চাই না। আমাদের একইভাবে একই পদে চাকরিতে বহাল রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, একবার আমরা কোর্টে গিয়েছি। আমরা জানি আইনি জটিলতা অনেক। কিন্তু এখনও দুটো স্তর বাকি। আমরা রিভিউ করতে পারি, আর সেটাই করব।
একইসঙ্গে চাকরিহারারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর তাঁরা নতুন পথে চলা শুরু করবেন। তাঁরা স্কুলে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় তাঁরা খুশি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সমস্যা সমাধানের পথ দেখিয়েছেন। বৈঠকে ডেকেছেন। সেখান থেকে আইনি সহযোগিতা করে আবার সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার লড়াইয়ে পাশে থাকার পথ তৈরি করে দিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে স্কুলে যাওয়ার বার্তা দিলেন চাকরি-হারানো শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্ররোচনায় পা দেননি। বিরোধীরা যে তাঁদের রাজনীতির অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চায়, তা বুঝতে এতটুকুও দেরি হয়নি চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের। নেতাজি ইনডোরের কনভেনশন থেকে স্কুলে পাঠদানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে রাজ্য প্রশাসনের উপর আস্থা রাখার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, দু’মাস কষ্ট করলে তাঁদের সার্ভিস ব্রেক যাতে না হয়, তারও আইনি পথ তৈরি রাখবে রাজ্য প্রশাসন। যোগ্য শিক্ষকেরা জানান, স্কুলে নিশ্চয়ই যাব। তবে চূড়ান্তভাবে, আগের সম্মান নিয়ে যখন যাব, সেটাই আসল স্কুলে যাওয়া হবে। ততদিন নিজেদের কর্তব্য পালন করব। পাশাপাশি লড়াই জারি থাকবে।