প্রতিবেদন : রাজ্যের মানুষের স্বার্থে এবং রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে জোটবদ্ধ হয়ে দাবি পূরণ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাঁর মতে, যখনই রাজ্যের পাওনাগণ্ডা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের অন্য মন্ত্রীরা দিল্লিতে সরব হন, তখন রাজনৈতিক বিরোধিতা করে এ রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদরা বিজেপি নেতৃত্বের পাশে দাঁড়ান। এটা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন-সমাধান হবেই, আস্থা রাখুন : ব্রাত্য বসু
বিগত দিনে এ রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। সীমান্ত থেকে কোনও অনুপ্রবেশ হচ্ছে কি না বা অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করা হচ্ছে কি না সেটাই দেখার দায়িত্ব বিএসএফের। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত তাদের কাজের পরিধি নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। এখন তা বৃদ্ধি করে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এটার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব এ রাজ্যের পুলিশের। পুলিশের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা হল এই এলাকা বৃদ্ধি করার প্রয়াস। রাজনীতির আঙিনায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস থাকা উচিত। দুঃখের বিষয় হল, এ রাজ্যে বিজেপির কোনও পূর্ববর্তী ইতিহাস নেই যাকে সামনে রেখে ওরা মানুষের দরজায় পৌঁছবে, কটাক্ষ স্নেহাশিস চক্রবর্তীর।
আরও পড়ুন-জিতে শুরু ইস্টবেঙ্গলের কন্যাশ্রী কাপ
বিজেপি নেতারা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। ওঁরা কেবলমাত্র মিডিয়াতেই রয়েছেন। মিডিয়াতে রোজ রোজ মুখ দেখালে নেতা হওয়া যায় না। নেতা হতে গেলে রাস্তায় নেমে নেতৃত্ব দিতে হবে বলেও এদিন জানান তিনি। বিজেপি একটা আগাপাশতলা দুর্নীতিপরায়ণ দল। ওরা অন্যান্য দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা বলে কী করে? এরাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় অনেক নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নোটবন্দি থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সবের সঙ্গেই কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের একাধিক নেতা-নেত্রী জড়িত। তাই ওঁদের কাছ থেকে নীতিকথা না শোনাই ভাল।