প্রতিবেদন : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে সরকার বদল হলেই গ্রেফতার হবে গদ্দার অধিকারী। এখন যে ইডি-সিবিআই ওর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না, তারাই গদ্দারকে গ্রেফতার করবে। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের শহিদদিবসের মঞ্চ থেকে এভাবেই দলবদলু কাঁথির নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন-তারাক্ষ্যাপা বামাক্ষ্যাপা
তাঁর সংযোজন, চোরের মায়ের বড় গলা। ২০২৪ সালে সরকার বদল হলে এই ইডির হাতেই গ্রেফতার হবে শুভেন্দু। লিখে রেখে দিন। সাধারণ মানুষও বুঝছে রাজনৈতিক চক্রান্ত করে কীভাবে তৃণমূলের একের পর এক নেতাকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। মানুষ ভোটের বাক্সে জবাব দেবে। ২৪ সালে বুঝবে কত ধানে কত চাল। কেন্দ্রে সরকার বদল হলেই এই ইডি-সিবিআইয়ের হাতেই গ্রেফতার হবে দলবদলু গদ্দার। এদিন বহিরাগতদের নিয়ে নন্দীগ্রামে হাজির হয় গদ্দার। কারণ ওর সভায় স্থানীয় মানুষ ছিল না। ফলে খেজুরি আর চণ্ডীপুর থেকে লোক আনতে হয়েছিল গদ্দারকে। তাতেও সভাস্থল ভরেনি। এ-প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, বাইরে থেকে বাসে করে লোক এনে জড়ো করেছে। তবে নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে ওদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। আর সে-কারণেই সকাল সকাল শুধুমাত্র লোক দেখানোর রাজনীতি করতেই বিজেপির এমন পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তাঁর তীব্র কটাক্ষ, সিপিএমের যে হার্মাদরা নন্দীগ্রামে হত্যালীলা চালিয়েছিল তারাই এখন বিজেপির সঙ্গে ভিড়ে সভা আলো করে রয়েছে। আর এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ নন্দীগ্রামের মানুষ।
বাম জমানার নন্দীগ্রাম সূর্যোদয় অপারেশনের ১৬ বছর। আজকের দিনেই রক্তক্ষয়ী অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন জমি আন্দোলনের নেতা ও কর্মীরা। এখনও নিখোঁজ অনেকেই। সেই থেকে ১০ নভেম্বর আজকের দিনে নন্দীগ্রাম গোকুলনগরের করপল্লিতে শহিদ স্মরণের আয়োজন।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, সাংসদ দোলা সেন। ছিলেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। আজ কেন্দেমারিতেও রয়েছে শহিদ তর্পণ।