আলিপুর জেলের (Alipur jail) সংগ্রহশালাটির (museum) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই আলিপুর জেলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক বিখ্যাত মানুষের ইতিহাস। সুভাষ চন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাস থেকে শুরু করে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী একসময় ছিলেন এই জেলে। আলিপুর জেলকে এবার হেরিটেজ সাইট হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানেই তৈরি হয়েছে একটি মিউজিয়াম। আজ বিকেলে সেই সংগ্রহশালাটির উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-হার্দিকের মঞ্চে ব্যর্থ বোলিং, হার ভারতের
এই জেলে একসময় বন্দি ছিলেন কলকাতা পুরসভার ২ মেয়র নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস। এখানে ছিলেন জওহরলাল নেহরু, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, বিধানচন্দ্র রায়ের মতো মানুষ।
আলিপুর জেলে ফাঁসিতে মৃত্যু বরণ করেছিলেন দীনেশ মজুমদার, দীনেশ গুপ্ত ও আরো অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী। যেসব ঘরে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ছিলেন সেইসব ঘরকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে।ওয়াচ টাওয়ার মেরামত করে নতুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রয়াত কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব
আলিপুর জেলের সংগ্রহশালাটির উদ্বোধন করে মমতা বলেন, ‘বাংলা না থাকলে নবজাগরণ হত না, স্বাধীনতা আন্দোলন বিপ্লব হত না। আলিপুর জেলের সংগ্রহশালা অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট। এই সংগ্রহশালাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ করতে চাই।’
আরও পড়ুন-হার্দিকের মঞ্চে ব্যর্থ বোলিং, হার ভারতের
এদিন বিজেপির নাম না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশের ইতিহাস ভূগোল পরিবর্তন করা হচ্ছে। আমরা দেশের ইতিহাসের নিদর্শন রক্ষা করেছি।আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। কেন ভাবনা বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে? কেন মিশন পরিবর্তন করা হচ্ছে? আমরা তাই ইতিহাস সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছি। একটি গানের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ দেশকে একসূত্রে বেঁধেছেন। দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের পায়ে মাথা ঠেকাই। নেতায় নেতায় মতবাদের বিরোধ থাকতে পারে কিন্তু সম্মানে বিভেদ থাকবে না। নেতাদের কাছে সব ধর্মের বর্ণের শ্রেণীর মানুষ এক হবে।’
আরও পড়ুন-প্রয়াত কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বললেন, ‘আমাদের বাংলা যদি না থাকত নবজারণ, স্বাধীনতা আন্দোলন হত না। যাঁরা স্বাধীনতা স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছেন তার মধ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ, বিধানচন্দ্র রায় কেউ বাদ নেই। যে কুঠুরিগুলোতিতে তাঁরা থাকতেন সেইগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ আলিপুর জেলের ফাঁসি কাঠ আমি দেখে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন স্কুলে পড়ার সময়ে তিনি সবিতাব্রত দত্ত, মিন্টু দাশগুপ্তদের গান শুনতে যেতেন। মিন্টু দাশগুপ্তর স্কোয়াডে একবার তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন। হারমোনিয়াম বাজিয়ে গানও গেয়েছিলেন।