বুধবার বিকেলে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) গোয়ালপোখরে সাজ্জাক আলম নামে এক আসামিকে আদালত থেকে জেলে ফেরত নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ ওই আসামি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালায়। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে এক দুষ্কৃতীকে ধরতে গেলে পুলিশের হাতে হাঁসুয়ার কোপ বসিয়ে দিয়ে পলাতক আরেক দুষ্কৃতী। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। গোয়ালপোখরে গুলিবিদ্ধ দুই পুলিশ আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। পুলিশকে গুলি করা হলে পুলিশও যে ছেড়ে কথা বলবে না, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন ডিজি। রাজীব কুমার এদিন বলেছেন, “আমাদের গুলি করলে, আমরা চারগুণ গুলি চালাব। কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় জানি। আমরা প্রশিক্ষিত। গুলি করলে কী করতে হয়, তা জানা আছে।”
আরও পড়ুন-দেশবিরোধী’ মন্তব্য প্রত্যাহার করুন ভাগবত: সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, পুলিশকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় আহত দুই পুলিশ কর্মী শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে আপাতত চিকিৎসাধীন। সেই আহত দুই পুলিশ কর্মীর খবর নিতে বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজিব কুমার সেখানে উপস্থিত হন। বেসরকারি হাসপাতালে আহত পুলিশ কর্মীদের দেখে তিনি চলে আসেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার অফিসে। সেখানে উত্তরবঙ্গের আইজি, উত্তরবঙ্গের ডিআইজিরা, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সহ প্রতিটি জেলার এসপি ও উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সাথে প্রায় ঘন্টা খানেক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি ৷ বৈঠক শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানান, পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্যই কাজ করে। পুলিশের উপর যদি কেউ একটা গুলি চালায় তাহলে চারগুণ গুলি চালানোর ক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। পুলিশ তার জন্য ট্রেনিংপ্রাপ্ত। দুজন পুলিশকর্মীর উপর যে হামলা হয়েছে এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ওয়ান্টেড হিসেবে তাদের ছবি প্রকাশ করা হয়। একজনের নাম সাজ্জাক আলম। যে মূল অভিযুক্ত। অপরজন আব্দুল হোসেন। সাজ্জাককে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ আব্দুলের বিরুদ্ধে। তাদের সন্ধান দিতে পারলে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। সন্ধান পেলে যোগাযোগ করার জন্য দুটো ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। নম্বর গুলি হল : ৯১৪৭৮-৮৯১০৪ ও ৯১৪৭৮-৮৯১০৫। সন্ধানদাতার নাম ও পরিচয় গোপন রাখবে পুলিশ। পাঞ্জিপাড়ায় গুলি-কাণ্ডে পলাতক বন্দির খোঁজে নামানো হয় ডগস্কোয়াড। বুধবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি সুধীর কুমার নীলকান্ত। এরপরই নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুর। গোটা এলাকা পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।