সাহস থাকলে লোকসভা ভেঙে এসআইআর করুক

মোদি-শাহের সরকারকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাহস থাকলে ভেঙে দিক লোকসভা। পদত্যাগ করুন মন্ত্রীরা। তারপর দেশ জুড়ে করা হোক এসআইআর। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
মঙ্গলবার দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে এভাবেই কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করলেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বিরোধীদের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযানে দিল্লি পুলিশের বর্বরতা প্রসঙ্গে বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে দিল্লি পুলিশ অতি-সক্রিয়তা দেখিয়েছে। বর্বরের মতো মহিলা সাংসদদের চুলের মুঠি ধরে নিয়ে গিয়েছে। কেন? কারণ কমিশনের কাছে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব নেই।

আরও পড়ুন- রক্ষাকবচ নিয়ে পুলিশকে কুকথা, গদ্দারের বিরুদ্ধে স্ত্রীদের বিক্ষোভ

এসআইআর প্রসঙ্গে অভিষেকের সোজাসাপটা কথা, যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই ভোটার তালিকায় গন্ডগোল রয়েছে, তাহলে সেই তালিকা মেনে লোকসভায় বা মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় হওয়া বিধানসভা ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বিজেপির মন্ত্রীরা আগে পদত্যাগ করুন, তারপর বিরোধী সাংসদেরাও করবেন। বেছে বেছে বিজেপি-বিরোধী রাজ্যগুলোতে এসআইআর হবে আর যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে গেরুয়া দল সেখানে এই নিয়ম কার্যকরী হবে না, এটা চলতে পারে না। এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। ক্ষমতা থাকলে লোকসভা ভেঙে দিয়ে সারা দেশ জুড়ে এসআইআর করুক কেন্দ্র, কারও আপত্তি নেই।
বিহার বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের নামে ‘ভোটচুরি’র পরিকল্পনা করেছে বিজেপি, আর তার তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই এর বিরোধিতায় সরব। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানান, যদি ভোটার তালিকায় কোনও গন্ডগোল থাকে তা হলে নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনও বৈধ নয়, কেন্দ্রের সরকারও বৈধ নয়। তাই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন যদি করতেই হয়, তবে আগে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হোক। বাংলার ভোটার তালিকা ভুল আর গুজরাতের ঠিক, বিহারের ভোটার তালিকা ভুল উত্তরপ্রদেশের ঠিক— এটা চলতে পারে না। এক বছর আগে লোকসভা ভোটের সময়ে এই ভোটার তালিকাতেই ভোট হয়েছে। তখন ভোটার তালিকা ঠিক ছিল। আর এখন ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢুকে গেল? আসলে নির্বাচন কমিশন-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগাচ্ছে।

অভিষেক বলেন, সোমবার যেভাবে ইন্ডিয়ার সদস্যদের কর্মসূচি আটকাতে অতি-সক্রিয়তা দেখিয়েছে দিল্লি পুলিশ তাতে বোঝা যাচ্ছে কমিশন ও কেন্দ্র ভয় পেয়েছে। আগামী দিনের জন্য ভোটার তালিকা ডিজিটাইজেশন করা হোক। কোনও রাজনৈতিক দল বিএলএ ২-র বিস্তারিত (প্রোফাইল, ঠিকানা বা ছবি) তথ্য কমিশনের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করবে না। এর ফলে খুব সহজেই তথ্য চলে যাবে বিজেপির হাতে।

অভিষেকের প্রশ্ন, ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ। কার নেতৃত্বে এই তালিকা তৈরি হয়েছিল? প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তাহলে তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের ঘাড়ে কেন দায় চাপানো হচ্ছে? কেন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করবে না কমিশন।

Latest article