ক্ষমতা থাকলে একটা বৈধ নাম বাদ দিক, শাহর কমিশনকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

১ লক্ষ মানুষকে নিয়ে দিল্লি ঘেরাও কোর্টে হেরে, ভোটে হেরে প্রতিশোধ নিচ্ছে

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপি বলছে এসআইআর নিয়ে তৃণমুল ভীত সন্ত্রস্ত! আজকের তারিখটা লিখে রাখুন, বাংলায় একজন বৈধ ভোটারেরও নাম বাদ গেলে ২০২৩-এ ট্রেলর দেখিয়েছিলাম এবার পুরো সিনেমা দেখাব, নির্বাচন কমিশন ও অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর কথায়, বিজেপির যত ছোট-বড় নেতা আছে বলছে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক ধসে যাবে! চ্যালেঞ্জ করছি, আপনাদের ক্ষমতা থাকলে গ্রহণ করুন এসআইআর করার পরও তৃণমূলের আসন গতবারের থেকে ১টা হলেও বাড়বে। বিজেপিকে ৫০-এ নামাব। যদি আপনারা এসআইআর করার পরও গো-হারা হারেন প্রেস ডেকে বলবেন তো বাংলার বকেয়া ২ লক্ষ কোটি টাকা ছেড়ে দেব। চ্যালেঞ্জ রইল।

আরও পড়ুন- বাংলায় SIR হলেও বিজেপিকে পঞ্চাশে নামাব! চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) বলেন, বিজেপির সহকারী সংস্থা এসআইআর ঘোষণা করেছে। ছট পুজো চলছে, উৎসব চলছে তার মধ্যেও এই ঘোষণা! আমাদের দলের অবস্থান প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট করেছি। এটা রিভিশন নয়, আসলে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে এটাই লক্ষ্য। তাঁর সংযোজন, আগে মানুষ ভোট দিয়ে দেশের সরকার নির্বাচিত করত। এখন দেশের সরকার তার পছন্দ মতো ভোটার বেছে নিচ্ছে! এদের লক্ষ্য ভোটার লিস্ট ত্রুটিমুক্ত করা নয়। এই ভোটার লিস্টেই লোকসভা বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। ত্রুটিমুক্ত হলে আগে লোকসভা ডিসলভ করে নতুন করে ভোটে যান। আমরাও তো নির্বাচিত হয়েছি এই লিস্টে। ইস্তফা দিন সকলে। তারপর এসআইআর করুন। ২০০২ সালে যখন এসআইআর হয়েছিল তখন ২ বছর সময় লেগেছিল। এখন বলছে ২ মাসে করবে! ৫টা রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। কৌশলে অসমকে বাদ দিয়েছে। বিজেপি যেখানে ক্ষমতায় সেখানে এখন এসআইআর হবে না। অসমে কেন হবে না? এটা কে বেছে দিয়েছে? কার অঙ্গুলিহেলনে এসব করছে? ৫ রাজ্যে একমাত্র অসমে বিজেপির ক্ষমতায়। সেখানে এসআইআর হবে না? কমিশন সদুত্তর দিতে পারেনি। আপনি বলছেন বাংলায় বাংলাদেশি- রোহিঙ্গা রয়েছে। যদি ইন্ডিয়ার ম্যাপ দেখেন (স্ক্রিনে দেখিয়ে) উত্তর-পূর্বের জায়গায় জুম করে দেখলে দেখা যাবে, পার্শ্ববর্তী দেশ কোনগুলি। একদিকে বাংলা, রয়েছে অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম। এসআইআর হচ্ছে শুধু বাংলায়। বাকি ৪টে রাজ্য বাদ? প্রশ্ন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

তিনি বলেন, এদের লক্ষ্য বাংলাকে অপমান করা। হেনস্থা করা। তাঁর কথায়, আমি এখনও বলছি বাংলা থেকে একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে বাংলা থেকে ১ লক্ষ লোক দিল্লিতে আন্দোলন করবে, ঘেরাও করবে। মানুষের ক্ষমতার আগে কারও ক্ষমতা টেকে না। আমাদের অধিকার চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের শুধু নয় মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছিল। বাংলার মানুষ কিছুই ভোলেনি।

Latest article