প্রতিবেদন : তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াইয়ে না পেরে কুৎসা ও অপপ্রচারের সহজ রাস্তায় শুরু হল বিজেপির পথ চলা। আর তা করতে করতে নিজেরা নিজেদের যে কখন গর্ধশিক্ষিত বলে প্রমাণ করে ফেলেছে তা বিজেপির নেতা-নেত্রীরা টেরও পায়নি।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলে, প্রশাসনে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষকে জায়গা করে দিয়েছেন। যা ভূ-ভারতে অন্য কোনও দল করে দেখাতে পারেনি। ক্রিকেটার থেকে গায়ক, সমাজসেবক থেকে অভিনেতা, ফুটবলার থেকে স্বনামধন্য শিল্পী, শিক্ষক, অধ্যাপক, চিন্তাবিদ, ব্যুরোক্র্যাট— কে নেই সেখানে! এমনকী মহিলাদের সামনের সারিতে আনার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে বাকি রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পথপ্রদর্শক। এই অবস্থায় বিজেপি ইউসুফ পাঠানের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার, কীর্তি আজাদের মতো বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো জাতীয় স্তরের জনপ্রিয় অভিনেতা, সুস্মিতা দেবের মতো সমাজকর্মীদের নিয়ে নজিরবিহীন কুৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। এঁদের ক্রমাগত বহিরাগত বলে আসলে নিজেরা যে ‘গর্ধশিক্ষিত’ সেটাই প্রমাণ করছে।
আরও পড়ুন-নজরুল জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসদনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যসভা এবং লোকসভায় যে-কেউ দেশের যে-কোনও প্রান্ত থেকেই দাঁড়াতে পারেন। নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের লোক হয়েও বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচনে লড়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অসম থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। এরকম ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে আমাদের দেশে। যদি এঁরা বহিরাগত না হয়ে থাকেন তবে, কোন অঙ্কে ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদেরা বাংলা থেকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়ে বহিরাগত হবেন? সুস্মিতা দেব বাংলা থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। তার মানে তিনিও বহিরাগত? কারণ তিনি অসমের বাসিন্দা। এই ধরনের হাস্যকর এবং ছেঁদো যুক্তি এবং সংবিধান ও রাজনীতির অ-আ-ক-খ না জেনে নির্লজ্জ বেহায়ার মতো তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কুৎসা করা ছাড়া বিজেপির আর কিই বা করার আছে! কারণ একমাত্র বাংলাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিজেপি পরপর নির্বাচন হেরেই চলেছে। সমস্ত রকম হুংকার-এজেন্সি রাজনীতি-কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সবকিছু সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি। অদূর ভবিষ্যতেও পারবে না। কারণ এই ‘গর্ধশিক্ষিত’রা যতই কুৎসা করুক না কেন বাংলা তাদের ঘরের মেয়েকেই চায়। আর বাংলার সিগন্যাল সবসময় ‘গ্রিন’ ছিল, ২০২৬-এও তাই থাকবে।