প্রতিবেদন : নেই কোনও স্থায়ী উপাচার্য, তা সত্ত্বেও অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে কনভোকেশন। আমন্ত্রিত রাজ্যপালও। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কালো পতাকা দেখানো হল। উঠল গো ব্যাক স্লোগান। গণতান্ত্রিকভাবে কলেজ ক্যাম্পাসের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি অভিরূপ চক্রবর্তী জানান, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য না থাকলে সেখানে কোনওভাবেই কনভোকেশন করা যায় না। কিন্তু এখানে অবৈধভাবে রাজ্য এবং শিক্ষামন্ত্রীর কথার তোয়াক্কা না করেই কনভোকেশন চলছে। যাঁরা অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্তের চাটুকারিতা করেন কেবলমাত্র তাঁদেরকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন অধ্যাপক ছাড়া আর কাউকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কার্যত বেআইনিভাবে লুকিয়ে-চুরিয়ে কনভোকেশন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-গরিবের টাকা লুঠ, এসবিআইয়ের ভুয়ো শাখা বিজেপি রাজ্যে
রাজ্যপাল তথা আচার্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও অমান্য করছেন। কোনও নিয়মই তিনি মানছেন না। একজন উপাচার্যকে একেবারে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বসিয়ে রেখেছেন। উপাচার্য নিয়োগের মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে তিন মাসের মধ্যে। এমনকী কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়। সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সার্চ কমিটি তিনজন উপাচার্যের নাম বাছাই করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। মুখ্যমন্ত্রী একজন করে বেছে নিয়ে তা অনুমোদনের জন্য রাজভবনের কাছে পাঠাবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর খানিকটা ব্যাকফুটে রাজ্যপাল। ফলে নিজের আধিপত্য কায়েম রাখতে অস্থায়ী উপাচার্যদের বসিয়ে রেখে এই নোংরা রাজনীতি করছেন তিনি।