অমিতকুমার দাস: এতদিন পিছন থেকে লাগাতার সমর্থন জোগানোর পর এবার কি তবে সরাসরি হামাসের হয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামল ইরান? জানা যাচ্ছে, লেবাননের হেজবুল্লা, ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর পর এবার ইরানের ইমাম হুসেন ব্রিগেড (Imam Hossein Brigade) হামাসের পাশে দাঁড়াতে পৌঁছে গিয়েছে লেবানন সীমান্তে। পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইরান থেকে ইমাম হুসেন ব্রিগেডের কয়েক হাজার যোদ্ধা সিরিয়ার পথ ধরে পৌঁছে গিয়েছে লেবানন-ইজরায়েল সীমান্তে। এই সেনা দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের অনুগত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর কমান্ডার জুলফিকর।
ইজরায়েলের তরফেও ইমাম হুসেন ব্রিগেডের (Imam Hossein Brigade) লেবানন সীমান্তে পৌঁছনোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইজরাইলের সেনা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল অ্যাভিচে অ্যাদ্রে। তিনি বলেছেন, কমান্ডার জুলফিকর-সহ ইমাম হুসেন ব্রিগেডের একটি দল দক্ষিণ লেবানন সীমান্তে পৌঁছেছে বলে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর রয়েছে। এর পাশাপাশি ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, লেবাননের হেজবুল্লা যোদ্ধাদের সঙ্গে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতেই ইরানি সেনার প্রশিক্ষিত যোদ্ধারা যে সীমান্তে জড়ো হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। লেবানন সীমান্তে সেনা মোতায়নের পাশাপাশি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সমস্ত মুসলিম দেশগুলিকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছে ইরান। মুসলিম রাষ্ট্রগুলি থেকে ইজরায়েলে তেল ও খাদ্য রফতানি বন্ধ করে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেইনি।
উল্লেখ্য, সরাসরি ইরান সেনার অন্তর্ভুক্ত না হলেও ইমাম হুসেন ব্রিগেডকে প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র ও অর্থসাহায্য করে তেহরান। অতীতেও লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লার সঙ্গে যৌথভাবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়েছে এই বাহিনী। আসাদ বাহিনীর হয়ে সে দেশের গৃহযুদ্ধেও অংশ নিয়েছে এরা। ইজরায়েলে হামলাকারী হামাসের আল কাসাম ব্রিগেডের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এই গোষ্ঠীর।
আরও পড়ুন- ভয়াবহ ভূমিকম্প নেপালে, মৃত্যু ১২৮ জনের