প্রতিবেদন : ওয়াকফ নিয়ে রাজ্যে আন্দোলন করলেও তা যেন কোনওভাবেই হিংসাত্মক না হয় সে-বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজনৈতিক উচ্ছৃঙ্খলতা তৈরি করার কাজ করছে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিদ্বেষমূলক আইন একের পর এক চাপিয়ে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। তাই বিজেপির চক্রান্তে পা না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে ১৬ এপ্রিল যোগ দেওয়ার ডাক দিল ইমাম মোয়াজ্জেম সংগঠন। রাজ্যের ইমাম মোয়াজ্জেম সংগঠন বিশ্বাস করে রাজ্যের মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ভাবেন তিনিই এই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনের পথ স্পষ্ট করে দেবেন। রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে রাজ্যের ইমাম, মোয়াজ্জেম ও বুদ্ধিজীবীদের সংগঠনের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয় ।
আরও পড়ুন-কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড উত্তরের ৩ জেলা
সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ আসান ইমরান, নাখোদা মসজিদের ইমাম মওলানা শফিক কাশেমি-সহ অন্যরা। ধর্মীয় নেতারা বলেন, কীভাবে জোর করে মুসলিমদের ধর্মীয় আচরণের উপর জোর করে নিজেদের আইন চাপিয়ে দিচ্ছে মোদি সরকার। সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রে মোদি সরকারের জমানায় প্রতিটি আইন প্রণয়ন থেকেই স্পষ্ট সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিদ্বেষমূলক আইন। তাঁদের এই দেশের শত শত বৎসর ধরে চলে আসা প্রথাকে ভেঙে ফেলে নিজেদের মত চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে মোদি সরকার।
মুসলিমদের বিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে সংগঠিত হচ্ছে আন্দোলন। কিন্তু বিজেপি প্ররোচনা দিয়ে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চলছে। মুর্শিদাবাদ থেকে আসা এক সদস্য জানান, বহিরাগত চক্রান্তে মুর্শিদাবাদে অশান্তি ছড়ায়। হিংসা ছড়ালে সেই আন্দোলন কখনও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সেই সঙ্গে প্রশাসনের পাশে থাকারও বার্তা দেন তাঁরা। স্পষ্ট করে দেন, ইসলাম ধর্ম অশান্তিকে প্রশ্রয় দেয় না।
মূলত ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনকে কোন পথে চালিত করা হবে, তা নিয়ে বৈঠক ১৬ এপ্রিল। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। এই কালা আইন নিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যকে শুনতে অধীর আগ্রহে তাঁরা অপেক্ষা করছেন বলে জানান।