প্রতিবেদন : দ্বাদশীতেও বিসর্জনে জমজমাট কলকাতা। বৃহস্পতি, শুক্রের পর শনিবারও কলকাতার ১৮টি গঙ্গার ঘাট-সহ স্থানীয়ভাবে বহু জলাশয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় হল প্রতিমা নিরঞ্জন। এদিনও শহরের বহু বারোয়ারি ও ক্লাব কমিটি তাঁদের প্রতিমা বিসর্জন দিলেন। ঘাটে ঘাটে ছিল কলকাতা পুরসভার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কলকাতা পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং জলে রিভার ট্রাফিক পুলিশের কড়া নজরদারি।
আরও পড়ুন-ভারতে মার্কিন শুল্কের নিন্দায় পুতিন
বিসর্জনের পাশাপাশি চলে গঙ্গার দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও ঘাট সাফাইকার্য। নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গেই গঙ্গাদূষণের কথা মাথায় রেখে গঙ্গা থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে প্রতিমার কাঠামো। আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে লাগাতার সাফাই অভিযান চলছে পুরকর্মীদের। ঝাঁ-চকচকে রাখা হচ্ছে পুরসভার অধীনস্থ ঘাটগুলি। সন্ধ্যায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে বাজে কদমতলা ঘাটে পৌঁছে কাজ খতিয়ে দেখেন। কোথাও কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা তার খোঁজখবর নেন। কথা বলেন পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সাংবাদিকদের মহানাগরিক জানান, এখানে বিসর্জনের জন্য আমাদের সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে। পরশু, কাল এবং আজ বেশিরভাগ প্রতিমার নিরঞ্জন হয়ে গেল। বাকি যাঁরা কার্নিভালে যাবেন না, তাঁরা কালও এই ঘাটে বিসর্জন দিতে পারবেন। আর যাঁরা কার্নিভালে যাবেন, তাঁদের মধ্যেও বেশিরভাগ এই ঘাটেই আসেন। এখানে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। পুরসভার দায়িত্ব বাকি নিরঞ্জনের সবটা সামলানো। জল যাতে কোনওভাবে দূষিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।