একের পর এক দুর্নীতির মামলায় দীর্ঘ কারাদণ্ড। সেইসঙ্গে আরও একাধিক মামলায় জড়িয়ে দিন কাটছে জেলেই। তারপরেও পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে বড় ছাপ ফেললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জেলবন্দি হয়েও ভোটে নিজের ক্ষমতা দেখালেন তিনি। এবারের নির্বাচনে তাঁর দলের প্রতীকে কেউই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। বদলে বেগুন প্রতীক নিয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রার্থীরা। ভোটগণনার প্রাথমিক প্রবণতা বলছে, জয়ের নিরিখে এবং নিয়ন্ত্রক হওয়ার মানদণ্ডে এগিয়ে আছেন তাঁরাই। অর্থাৎ নানা মামলায় জেরবার হলেও অটুট ইমরান খানের জনপ্রিয়তা।
আরও পড়ুন- বঞ্চিতদের পাওনা মেটাতে ৩০০র বেশি শিবির জেলায়, নির্দেশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির খবর অনুযায়ী, ১২৫ আসনে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খানের প্রার্থীরা। প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা এগিয়ে ৪৪টি আসনে। আর বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি এগিয়ে মাত্র ২৮ আসনে। যদিও প্রাথমিক প্রবণতা পরে বদলানোর অবকাশ থাকছে। ৩৩৬ আসনের পাকিস্তান লোকসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৬৯টি আসন। সরকারিভাবে এখনও হাতে গোনা কয়েকটি আসনের বাইরে ফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় পর স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় প্রথম আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেই আসনটিতে জয় পেয়েছে পিটিআই। এরপর আরও তিনটি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তার একটি গিয়েছে ইমরানের ঝুলিতে, বাকি দুটি নওয়াজের। লাহোর থেকে জয় পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পিএমএল(এন) সভাপতি শেহবাজ শরিফ। তবে পাক সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, জয়ের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সবার আগে রয়েছে ইমরান খানের দলই। অথচ, এবারের নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন’ই সবথেকে বেশি আসন জিতবে বলে মনে করা হয়েছিল। এদিন জয়ের আভাস পেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ইমরান খান। তিনি লিখেছেন, জনগণের ইচ্ছাকে ধ্বংস করে সম্ভাব্য প্রতিটি পদ্ধতি অবলম্বন করা সত্ত্বেও জনগণ আমাদের ব্যাপক হারে ভোট দিয়ে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। যদিও এর পরেও ভোট লুঠ হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এখন এই ভোটকে রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।