প্রতিবেদন: লজ্জা! যাঁকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাল বিজেপি, সেই রেখা গুপ্তই মাত্র দু’বছর আগে দিল্লি পুরসভায় গুন্ডামিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর ইন্ধন এবং নেতৃত্বেই পুরসভায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার রেখা গুপ্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই গুন্ডামি এবং ভাঙচুরের ভিডিও। এই রকম একজন মানুষকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়ায় নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তৃণমূল। এই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, যে নেত্রী নিজেই আইন ভাঙছেন, প্রকাশ্যে গুন্ডামি করছেন, ভাঙচুর চালাচ্ছেন, তাঁকে দিল্লি প্রশাসনের শীর্ষপদে বসিয়ে কী বার্তা দিতে চাইছেন মোদি-শাহরা? আইন ভাঙা, ভাঙচুর চালিয়ে গুন্ডামি করা মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত কীভাবে দিল্লিবাসীকে আইনের শাসন দেবেন?
আরও পড়ুন-মোদির স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাক ডেরেকের
রেখা গুপ্তর নেতৃত্বে ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এমন এক মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাজধানী এবং সেখানকার মানুষের ভবিষ্যৎ আদৌ নিরাপদ কি? প্রশাসনের কাজকর্মে নেতৃত্ব দেওয়ার কোনও যোগ্যতা বা অধিকার তাঁর আদৌ আছে কি? অবাককাণ্ড, ভাঙচুর ও গুন্ডামিতে অভিযুক্ত এই নতুন গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রীই আবার শপথ নিয়েই মহিলাদের ক্ষমতায়ণ ও তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। সত্যিই হাস্যকর।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে রেখা গুপ্তকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হাত-পা ছুঁড়তে, জিনিসপত্র নিয়ে টানাটানি করতে এবং উসকানি দিয়ে ভাঙচুরের নেতৃত্ব দিতে। দিল্লি পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচনে ব্যালট পেপারকে কেন্দ্র করেই বিজেপি এই ভাঙচুর চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর গালিগালাজ এবং গুন্ডামির ইতিহাস প্রকাশ্যে এল। এটা নিঃসন্দেহে খুবই বিচলিত করে দেওয়ার ঘটনা। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার প্রতি আপত্তিকর এবং অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করেছেন।