প্রতিবেদন : বিজেপি রাজ্যেই ভোটে শূন্য প্রাপ্তি। মোদি জমানায় ডবল ইঞ্জিন ধাক্কা খেল রাজস্থান। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়। তার মধ্যে অন্যতম ছিল রাজস্থান। যেখানে কংগ্রেস সরকার ফেলে দিয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। নভেম্বরের সেই ফল কয়েক মাসের ব্যবধানে অনেকটাই বদলে গেল কীভাবে, ভেবে পাচ্ছেন না দলের নেতারাই। অবস্থা এমন যে রাজ্যের অন্তত ৩১টি বুথে শূন্য পেয়েছে বিজেপি। এবারের লোকসভা ভোটে বিরোধীদের জমি পুনরুদ্ধারের যে কথা বলা হচ্ছে, বিজেপিশাসিত রাজস্থানের এই ফল তারই ইঙ্গিত।
জাতীয় রাজনীতিতে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসের জন্য মোটেই সুখকর ছিল না। যদিও লোকসভা নির্বাচনে কিছু রাজ্যে হারানো জমি ফিরে পেয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানের ফলও তার অনেকটা প্রমাণ দিয়েছে। এখানকার চার বিধানসভা কেন্দ্রের ৩১টি বুথে একটিও ভোট পাননি বিজেপি প্রার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে শিকার, ঝুনঝুনু, জয়পুর ও বাড়মের-জয়সলমের। এর পাশাপাশি মোট সাতটি বিধানসভা এলাকার ৩৩টি বুথে ১টি করে মাত্র ভোট পেয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে আইনি নোটিশ দিচ্ছে এডুকেশনিস্ট ফোরাম
সদ্য রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরে বিজেপির পক্ষে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে করা অনেক সহজ ছিল ডবল ইঞ্জিন রাজস্থানে। অথচ ২৫ আসনের লোকসভায় ১৪টি জিতেছে বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছে ৮টি আসন। বাম শরিক সিপিএম গোটা দেশে মোট যে চারটি আসন পেয়েছে, তার একটি এই রাজস্থান থেকেই পেয়েছে। রাজনীতিকদের দাবি, তবে কি ৩১টি বুথে বিজেপির স্থানীয় শীর্ষনেতা বা বুথ সভাপতির মতো পদে থাকা নেতৃত্বও ভোট দেননি নিজেদের দলকে? না হলে গোটা বুথে শূন্য হয় কীভাবে? খোদ বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই ফল হওয়ার পর ভোটলুঠের অজুহাতও তোলা যাচ্ছে না!
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই লোকসভার ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনায় কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রমাণ পেয়েছেন তাঁদের ২২ জন শীর্ষ নেতা নিজেদের দলকেই হারাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁদের নিয়ে মঙ্গলবারই কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব আলোচনায় বসেন। তবে লোকসভায় রাজস্থানের ৩১ বুথে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলকে শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়টি বিরোধী শিবিরকে নতুন করে উজ্জীবিত করছে।