গণতন্ত্রে কৃষকদের রাজ্যে প্রবেশ আটকানো যায় না, শম্ভু সীমান্ত খোলার নির্দেশ দিয়ে কড়া মন্তব্য হাইকোর্টের

আদালতের পর্যবেক্ষণ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা এবং দিল্লি ও জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে নাগরিকদের চলাচলের জন্য শম্ভু সীমান্ত কার্যত ‘লাইফ-লাইন’।

Must read

প্রতিবেদন: কৃষক আন্দোলন রুখতে গিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট বুধবার হরিয়ানার বিজেপি সরকারকে শম্ভু বর্ডার খুলে দেবার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা এবং দিল্লি ও জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে নাগরিকদের চলাচলের জন্য শম্ভু সীমান্ত কার্যত ‘লাইফ-লাইন’। এটি বন্ধ করার ফলে সাধারণ মানুষের প্রচুর অসুবিধা হচ্ছে। অবিলম্বে এটি খুলে দিতে হবে।

আরও পড়ুন-গুগলে লোকেশন শেয়ার জামিনের শর্ত হতে পারে না: সুপ্রিম কোর্ট

কৃষক আন্দোলন সম্পর্কিত একটি জনস্বার্থের আবেদনের (পিআইএল) শুনানি করার সময় বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়া এবং বিচারপতি বিকাশ বহেলের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, রাষ্ট্রের জেগে ওঠা উচিত। সীমান্ত সব সময়ের জন্য বন্ধ করা উচিত নয়। আদালত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং মহাসড়ককে তার গতিশীলতা পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে সরকারকে। পাঞ্জাব থেকে কেন্দ্র-বিরোধী আন্দোলনকারীদের হরিয়ানায় প্রবেশে বাধা দিতে কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন ফেব্রুয়ারিতে হরিয়ানা সরকার শম্ভু সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। হরিয়ানার অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল দীপক সবরওয়াল যুক্তি দিয়েছিলেন ৪০০-৪৫০ জন বিক্ষোভকারী এখনও হাইওয়েতে পাঞ্জাবের দিকে বসে আছে এবং তারা আম্বালায় প্রবেশ করতে পারে। এসপির অফিসও ঘেরাও হতে পারে। এর জবাবে বিচারপতি সন্ধাওয়ালিয়া বলেন, উর্দি পরা পুলিশ তাদের ভয় পায় না। বিচারপতির মন্তব্য, আমরা গণতন্ত্রে বাস করছি। তাই কৃষকদের হরিয়ানায় প্রবেশ করা থেকে আটকানো যাবে না। তাদের ঘেরাও করতে দিন। আদালত উল্লেখ করেছে, হরিয়ানা সরকারের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার কারণে হাইওয়ে বন্ধ ছিল এবং তারপর থেকে ৫-৬ মাস কেটে গিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহাসড়কে যে বাধা তৈরি করা হয়েছে তা বড় অসুবিধার কারণ হচ্ছে। পরিবহন যানবাহনের অবাধ প্রবাহ নেই, এইভাবে সাধারণ জনগণ চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছে।

Latest article