মঙ্গলবার, রাত নটা নাগাদ অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছয় ইডি। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে হুইল চেয়ারে (Wheelchair) বের করা হয় অনুব্রতকে। তাঁকে বের করা হয় ইন্টারন্যাশনাল এগজিটের VIP গেট দিয়ে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ইডির সদর দফতরে। সেখানে কিছুক্ষণ রেখে পিছনের দরজা দিয়ে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয় রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ফিরিয়ে আনা হয় ED-র দফতরে। হোলি উপলক্ষ্যে দিল্লিতে (Delhi) কয়েকদিন আদালত বন্ধ। তাই রাতেই ভার্চুয়াল শুনানি চেয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। রাত ১১টা ৩০মিনিট নাগাদ ভার্চুয়াল শুনানি হয় বিচারক রাজেশ কুমারের (Rajesh Kumar) এজলাসে।
আরও পড়ুন-২২ জেলায় ৬১২ কমিউনিটি হল সাংসদ তহবিলের অর্থে
সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী অনিয়মের ঘটনাগুলি তুলে ধরেন। স্পষ্ট জানান, আইন অনুযায়ী শুনানির আগে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে তিনি একান্তে কথা বলতে পারেন। কিন্তু ভার্চুয়াল শুনানিতে সেই সুযোগ নেই। এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তারপরে দফতরে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে আগে অনুব্রতকে আগে সদর দফতরের নিয়ে যায় ইডি। সেখান থেকে আবার হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে ফিরে আসে। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর আপত্তিগুলি মনোযোগ দিয়ে শোনেন বিচারক। এরপরেই দশ মিনিট বিরতি নেন বিচারক। ফিরে এসে তিনি জানান, সাড়ে বারোটার মধ্যে সশরীরে সব পক্ষকে তাঁর বাসভবনের হাজির হতে হবে।
আরও পড়ুন-হার-না-মানা জেদ, চাপ-না-মানা লড়াই
সেইমতো রাত সাড়ে বারোটা নাগাদই অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দিল্লির অশোক বিহারে রাকেশ কুমারের বাড়ি যায় ইডি। সেখানে ১৪ দিনের হেফাজত চায় ইডি। কারণ এই মামলায় আর যাঁরা যাঁরা অভিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চান বলে জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে, অনুব্রতর আইনজীবী হেফাজতের বদলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের আবেদন জানান। একইসঙ্গে চিকিৎসকদের ফিট সার্টিফিকেট থাকলে অনুব্রত মণ্ডল শারীরিকভাবে সুস্থ নন বলে দাবি জানান তাঁর আইনজীবী। রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শেষ হয় শুনানি। এরপর ১০ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন অনুব্রতর আইনজীবী।