ঘটনাটি অসমের (Assam) করিমগঞ্জ জেলায় একটি সরকারি স্কুলের। অভিযোগ এসেছে বছর সাইত্রিশের এক শিক্ষক ছাত্রীদের ক্লাসরুমে অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো দেখান। এক ছাত্রী বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে জানায়, ওই শিক্ষক ক্লাসে জোর করে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখতে বাধ্য করেছে তাদের। শুধু তাই নয় অভব্য আচরণ ও শরীরে স্পর্শ করেছে। এই ঘটনা জানার পরেই ছাত্রীর মা-বাবা গিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলে চড়াও হয় সাধারণ মানুষ থেকে অভিভাবকেরা। যদিও এত কিছুর পরেই প্রকট হয়ে উঠছে গেরুয়া সরকারের ব্যর্থতা। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরার আগেই সে পালিয়ে যায়। সেটা জানাজানি হওয়ার পরেই ক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয় বলে খবর। পুলিশের তরফে খবর বারণ করা সত্ত্বেও অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-আজ নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল
এত কিছুর পরেও বিভিন্ন ধরণের যৌন হেনস্থা একপ্রকার সামাজিক ব্যাধির রূপ নিয়েছে। সন্তানদের ভাল শিক্ষা ও ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে ওঠার জন্য স্কুলে পাঠান অভিভাবকেরা। যেখানে শিক্ষকদের পিতৃসমান মনে করা হয় সেখানে এই ধরণের ঘটনা সেটাও সরকারের অধীনে একটি স্কুলে রীতিমত ন্যক্কারজনক।