প্রতিবেদন : মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে বিজেপিশাসিত বিহারে (Bihar) ভেঙে পড়ল ৫ সেতু। কিন্তু তা নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই বিহারের জেডিইউ সরকার কিংবা তাঁদের শরিক বিজেপির। কোনও বিরোধী রাজ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেই যে প্রধানমন্ত্রী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসেন, সেই প্রধানমন্ত্রীও বিহারের পরপর সেতু বিপর্যয়ের ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। শুক্রবার কোশী নদীর উপর ভেঙে পড়েছে মধুবনি জেলার ঝঞ্ঝারপুরের নির্মীয়মাণ সেতু। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার অধীনে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দে ৭৭ মিটার দীর্ঘ এই সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ৩ বছর ধরে নির্মীয়মাণ সেই সেতুরই ২৫ মিটার উঁচু পিলার ভেঙে ব্রিজটি কোশী নদীর উপরে ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই সেতুর একাংশ আগেও একবার ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু তারপরও বিহারের গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে এই নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ৯ দিনের মধ্যেই বিহারেই (Bihar) ভেঙে পড়েছে ৫টি সেতু। ১৯ জুন আরারিয়ায় সেতু বিপর্যয় থেকে শুরু, তারপর ২২ জুন গণ্ডক খাল, ২৩ জুন পূর্ব চম্পারণে এবং বৃহস্পতিবার কিসানগঞ্জের সেতু ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এতেও ঘুম ভাঙছে না কেন্দ্র সরকারের। এদিকে, দিল্লির পর এবার খোদ মোদির রাজ্য গুজরাতেও ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দরের ছাদ। দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভেঙে শুক্রবার ৩ জনের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিপর্যয়। শনিবার ভেঙে পড়েছে রাজকোট বিমানবন্দরের যাত্রী প্রবেশ এলাকার ছাউনি। হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও বিজেপি রাজ্যগুলিতে একের পর এক বিপর্যয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারের মুখোশ খুলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- মোবাইল চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ সল্টলেকে! গ্রেফতার ৩