প্রতিবেদন: বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ পুলিশের দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলার প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছে, কোনও পুলিশ কর্মকর্তা যদি কারুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, তবে তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের অজুহাতে নিজেকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার দাবি করতে পারবেন না। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ জানিয়েছে যে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারার সুরক্ষা এমন কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় যারা ক্ষমতার অপব্যবহার বা অপচয় করেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারা অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মচারী যদি তাঁর দায়িত্ব পালনের সময় কোনও অপরাধ করে থাকেন, তবে তাকে বিচারের আওতায় আনার আগে সরকারের অনুমোদন নিতে হয়।
আরও পড়ুন-মমতাময় পশ্চিমবঙ্গ
সুপ্রিম কোর্ট একাধিক রায়ে বলেছে, কোনও সরকারি কর্মচারী যদি এমন কিছু করেন যা আইনত অবৈধ, যেমন ভয় দেখিয়ে সাজানো বক্তব্য প্রদান করানো, ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া, অভিযুক্তকে বেআইনিভাবে আটক রাখা, মিথ্যা বা জাল নথি তৈরি করতে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকা, হয়রানি বা হুমকি দেওয়ার জন্য তল্লাশি পরিচালনা করা—এইসব কার্যক্রম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারার সুরক্ষার আওতায় পড়বে না। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, যখন কোনও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ ওঠে, তখন তিনি ১৯৭ ধারার সুবিধা দাবি করতে পারবেন না। আদালতের মতে, কোনও সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্বের অংশ হতে পারে না মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং তার জন্য প্রমাণ বা নথি জাল করা। আদালত আরও বলেছে, কোনও কর্মকাণ্ডের গুণমান বিচার করে যদি দেখা যায় যে, এর সঙ্গে সরকারি দায়িত্ব পালনের মধ্যে কোনও যৌক্তিক বা যুক্তিসঙ্গত সম্পর্ক নেই, তখন তার পক্ষে দাবি করা যায় না যে, ১৯৭ ধারার অধীনে মামলার অনুমোদন প্রয়োজন। কারণ, মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং প্রমাণ জাল করা সরকারি দায়িত্বের অংশ হতে পারে না। আদালত এই মন্তব্যগুলি করেছে একটি মামলার প্রসঙ্গে, যেখানে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তারা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে, যা উত্তরপ্রদেশে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা অজুহাত তৈরির উদ্দেশ্যে।