প্রতিবেদন : কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য। সতর্ক কলকাতা পুরসভাও। ভারতে এখনও কোনও আক্রান্তের খবর না মিললেও মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের বিষয়ে আগাম ব্যবস্থা নিল নবান্ন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সিদ্ধান্ত, বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের উপরে নজর রাখা হবে। কোনও ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে পাঠাতে হবে তাঁকে। এরজন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে। নেওয়া হয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন-ঘোষণা হল GTA নির্বাচনের দিনক্ষণ, দেখে নিন একনজরে
পরিস্থিতি সন্দেহজনক হলেই ২২ দিন নজরদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। সম্ভাব্য আক্রান্তের সংস্পর্শে যে বা যাঁরা আসছেন, চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের ক্ষেত্রেও। বিশ্বে সম্প্রতি এই বিরল ভাইরাসে ১০০ জন আক্রান্ত। আরও ২৮ জনকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। বেশিরভাগ কেসই মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার। মহামারীর রূপ নেয়নি। স্থানীয়ভাবেই সীমাবদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম এবং অস্ট্রেলিয়াতেও সম্প্রতি চিহ্নিত করা হয়েছে প্রথম আক্রান্তকে। লক্ষণীয়, ১৯৫০ সালে এক গবেষণায় বাঁদরের দেহেই প্রথম চিহ্নিত হয় এই বিরল ভাইরাস।
আরও পড়ুন-সেরা কামব্যাক, দাবি কার্তিকের
এই কারণেই এর নাম রাখা হয় মাঙ্কিপক্স। পরে অবশ্য কাঠবিড়ালি, আফ্রিকান ইঁদুর সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের দেহেও পাওয়া যায় এই জেনাস অর্থোপক্স ভাইরাস। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে মানবদেহেও। উপসর্গ ঠিক কেমন? জ্বর, শীতের অনুভূতি, ত্বকে ফুসকুড়ি, যৌনাঙ্গে ক্ষত, মাথাধরা, পেশিতে ব্যথা, গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া— এগুলিই মূল উপসর্গ। জ্বর আসার প্রথম ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মুখে ফুসকুড়ি বের হয়, ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা শরীরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপসর্গটা অনেকটা অবলুপ্ত গুটিবসন্তের মতো। কিছুটা মিল আছে জলবসন্তের সঙ্গেও। প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসঘটিত রোগ বিপজ্জনক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিরোধের উপায় কী? নিশ্চিত আরোগ্যের জন্য কোনও প্রমাণিত ওষুধ এখনও নেই। তবে এর নিয়ন্ত্রণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্মলপক্স ভ্যাকসিন, অ্যান্টিভাইরাল এবং ভ্যাকসিনিয়া ইমিউন গ্লোবিউলিন প্রয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।