প্রতিবেদন: ধর্ষণের (Rape Case) ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাস্তি হয় না অপরাধীদের। কেন্দ্রের রিপোর্টেই তা প্রমাণিত হল আবার। আর জি কর কাণ্ডে সাজার দাবিতে সরব নাগরিক সমাজ। দ্রুত বিচার ও সাজার দাবিতে সরব স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্য দিয়ে জানিয়েছিলেন দেশে প্রতি ১০০টি ধর্ষণের ঘটনায় ৭৪ জন শাস্তিই পান না। এবার তাঁর কথার মান্যতা এনসিআরবি-র পরিসংখ্যানে। জানানো হল, নারী নির্যাতন ও মহিলাদের উপর ঘটা নির্যাতনের ঘটনায় প্রায় ৭০ শতাংশ অভিযুক্তই প্রমাণের অভাবে মুক্তি পেয়ে যান। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক ধর্ষণ-খুনে প্রায় একমাস হতে চলল কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। আর তার মধ্যেই দেশের নানা প্রান্তে ঘটে চলেছে এই নারকীয় ঘটনা। তথ্য দিয়ে দ্রুত বিচারের দাবিতে সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার ১৫ দিন পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দেশে যে সমস্ত ধর্ষণের খবর সামনে এসেছে, তার একটি ‘কোলাজ’ তৈরি করে পোস্ট করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, এই কোলাজটিই বলে দিচ্ছে এই মুহূর্তে ভারতের পরিস্থিতি আসলে কী রকম? সেখানই তিনি জানান, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রতি ১০০টি ধর্ষণের ঘটনায় ৭৪ জন শাস্তিই পান না। এনসিআরবির তথ্যেই অভিষেকের দাবি মান্যতা রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এদেশে ধর্ষণ বা নারীদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া অপরাধের সাজাপ্রাপ্তের হার অত্যান্ত উদ্বেগজনক। তথ্য অনুযায়ী, ভারতের প্রতি দেড় হাজার মহিলার মধ্যে কমপক্ষে একজন কোনও না কোনও অপরাধের শিকার। ২০২২ -এর এই তথ্য অনুযায়ী, এক লক্ষ মহিলার মধ্যে ৬৭ জন মহিলা অপরাধের শিকার হতে হয়েছে। আর ৭০ শতাংশ অভিযুক্ত প্রমাণের অভাবে মুক্তি পেয়ে যান। মহিলাদের (Rape Case) উপর ঘটা অপরাধের নিরিখে এখনও শীর্ষস্থানে রাজধানী দিল্লি। এর পরেই তালিকায় হরিয়ানা, রাজস্থান, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা। অর্থাৎ বেশিরভাগ বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিনের সরকারের রাজ্যেই নারীদের উপর আক্রমণ ও অভিযুক্তদের ছাড়া পেয়ে যাওয়ার ঘটনা বেশি।
প্রতি ১০০ ধর্ষণের ঘটনায় শাস্তিই পান না ৭৪ অভিযুক্ত
অভিষেকের দাবির মান্যতা এনসিআরবি-র পরিসংখ্যানে