দোহা, ২২ জানুয়ারি : জিতলে পরের রাউন্ডে ওঠার আশা বেঁচে থাকবে। তবে হারলে কিংবা ড্র করলেই বিদায়। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন সুনীল ছেত্রীরা। প্রতিপক্ষ সিরিয়া। যারা ধারে ও ভারে অনেকটাই এগিয়ে।
আরও পড়ুন-বোরহার বিকল্প নিয়ে চাপে ইস্টবেঙ্গল
প্রথম দু’ম্যাচে মোট পাঁচ গোল হজম করেছে ভারত। পয়েন্টের ঝুলি শূন্য। মজার ব্যাপার সিরিয়াও খুব একটা ভাল জায়গায় নেই। উজবেকিস্তানের সঙ্গে ড্র করার পর, অস্ট্রেলিয়ার কাছে এক গোলে হেরেছে মধ্যপ্রাচ্যের দল। ফলে মঙ্গলবারের ম্যাচটা তাদের কাছেও মরণ-বাঁচন লড়াই। ম্যাচের আগে ইগর স্টিমাচের গলায় অবশ্য লড়াই করার প্রতিশ্রুতি। সুনীলদের কোচ বলছেন, ‘‘আমার নিজেদের খেলা খেলব। প্রথম দুটো ম্যাচ হেরেছি ঠিকই। তবে পরাজয় খেলার অঙ্গ। তবে আমাদের মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে।’’
আরও পড়ুন-উদ্বোধনে হাজির কংগ্রেসের মন্ত্রী
ভারত টুর্নামেন্টের প্রথম দুটো ম্যাচ খেলেছিল আহমেদ আল বিন স্টেডিয়ামে। সিরিয়া ম্যাচ সুনীলরা খেলবেন আল খোরের আল বায়েত স্টেডিয়ামে। স্টিমাচ বলছেন, ‘‘আশা করি, নতুন স্টেডিয়াম আমাদের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসবে।’’ একই সঙ্গে সিরিয়ার পাওয়ার ফুটবল নিয়ে সমীহের সুর স্টিমাচের গলায়, ‘‘সিরিয়া দুটো ম্যাচেই প্রশংসনীয় ফুটবল খেলেছে। ওরা ৪-৪-২ ফর্মেশনে খেলতে অভ্যস্ত। ফুটবলারদের গড় উচ্চতা ভাল। পাওয়ার ফুটবল খেলে। তবে আমাদের মতো ওদেরও একই সমস্যা। প্রচুর সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে না পারা।’’
আরও পড়ুন-বোরহার বিকল্প নিয়ে চাপে ইস্টবেঙ্গল
কোচের মতো প্রতিপক্ষের পাওয়ার ফুটবলকে সমীহ করছেন সুনীলও। ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে শক্তির বিচারে সিরিয়া খুব একটা পিছিয়ে নেই। ওরা পাওয়ার ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত। তবে আমাদের ইতিবাচক দিক হল, আগের দুটো ম্যাচে আমরা শক্তিশালী দুটো দলের বিরুদ্ধে খেলেছি। ওই দুটো ম্যাচের রেজাল্ট তো বদলাতে পারব না। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নিতেই পারি।’’ সুনীল আরও বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া ও উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধেও আমরা সুযোগ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু গোল করতে পারিনি। সিরিয়া ম্যাচেও সুযোগ আসবে। আমাদের সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’’