সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : নিজের নির্বাচিত এলাকা নন্দীগ্রামের মাটিতেই ফের ‘চোর, চোর’ স্লোগান শুনতে হল গদ্দার অধিকারীকে। মঙ্গলবার। দক্ষিণ কেন্দ্রেমারির পর এবার সামসাবাদ বুড়ির মোড়ে। নন্দীগ্রামে ঠিক ভোটের মুখে এই জনরোষের জেরে পরিস্থিতি সরগরম। গত ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের দক্ষিণ কেন্দ্রেমারিতে একটি মনসাপুজোয় যোগদানের জন্য কনভয় নিয়ে যাওয়ার পথে বাসন্তীবাজারে লোকজন চোর চোর স্লোগান দিয়েছিল। এবার রাতে নয়, দিনের বেলাতেই নন্দীগ্রামে গদ্দারকে চোর স্লোগান শুনতে হল।
আরও পড়ুন-গরিবের চিকিৎসক হতে চান মেধাবী মুস্তাফিজুর
সামসাবাদে বিজেপির এক কর্মিসভায় যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষজন ও বহু মহিলা ছিলেন বুড়িরমোড়ে চলে আসেন। গদ্দার অধিকারীর কনভয় পাস করছিল। গদ্দারের গাড়ি দেখেই সবাই চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন। অবশ্য গদ্দার কনভয় থামাননি, সোজা চলে যান। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন নন্দীগ্রামের জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থী তথা জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ শামসুল ইসলাম, প্রধান শেখ মান্নান, অঞ্চল প্রধান শেখ মনসুর আলি প্রমুখ।
তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য সম্প্রতি যখনই নন্দীগ্রামে প্রচারে আসছেন, তাঁকে দেখে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা চোর চোর স্লোগান দিচ্ছেন। দু’-দু’বার এমন ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রামে। ফলে জোড়া ফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা তো বটেই, সাধারণ মানুষও প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিলেন।
আরও পড়ুন-হলদিয়ায় বিক্ষোভের মুখে বিজেপি বিধায়ক
নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, চোরকে চোর বললে অসুবিধা কোথায়! নারদায় সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম আছে, সারদা-সহ কাঁথি পুরসভার ত্রিপল চুরি, কাঁথিতে শ্মশান চুরি, হলদিয়ায় লোহাচুরি, কোলাঘাটে ছাই চুরির আসল নায়ক কে, জেলার সবাই জানেন। এক কথায়, তাঁকে প্রতিষ্ঠিত চোর বলা চলে। তাই কেউ যদি বলে থাকে অসুবিধা কোথায়? উল্লেখ্য, বুধবার নন্দীগ্রামে সভা করতে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে।