প্রতিবেদন : বিজেপি-শাসিত ওড়িশায় (Odisha_murder) দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত জুয়েল রানার দেহ ফিরতেই শোকের আবহ সুতি জুড়ে। হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং আততায়ীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে। গত বুধবার বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক জুয়েল রানাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। বিজেপি শাসনে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জীবন যে কতখানি নিরাপত্তাহীন, জুয়েল রানার হত্যা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। শুক্রবার বেলা দশটা নাগাদ ওড়িশা (Odisha_murder) থেকে গ্রামে আনা হয় জুয়েলের মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই পরিবারের তরফে সুতি থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই খুনের অভিযোগে ছ-জনকে গ্রেফতার করেছে ওড়িশার পুলিশ। জুয়েলের মা নাজেমা বিবি বলেন, ২০ ডিসেম্বর ওড়িশার সম্বলপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিল জুয়েল, আকির ও পলাশ। গুন্ডারা একেবারে মাথায় মেরে দিল। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে আমার ছেলে শেষ। রুজিরুটির সন্ধানে গিয়েছিল। কে জানত, সেখানেই শেষ হয়ে যাবে জীবনটা! আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওঁর দুই সঙ্গী আকির শেখ ও পলাশ শেখ।
আরও পড়ুন- মা ক্যান্টিনের ধাঁচেই দিল্লিতে অটল ক্যান্টিন
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, বাংলায় কথা বলায় ফের একজন পরিযায়ী শ্রমিককে নিশানা করা হল বিজেপি-শাসিত রাজ্যে। সম্বলপুরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে মুর্শিদাবাদের একজনকে পিটিয়ে মেরেছে বিজেপির গুন্ডারা। আহত আরও ২ জন। এক অভিযোগের জবাবে সামিরুল জানিয়েছেন, ভারতের আর কোনও রাজ্য পাবেন না যেখানে এরকম পরিযায়ী বোর্ড গঠন করা হয়েছে সরকারি ব্যবস্থাপনায়। এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো গঠন করা হয়েছে। যবে থেকে পরিযায়ী শ্রমিক বোর্ড তৈরি হয়েছে, আমরা সবসময় যে কোনও অত্যাচারিত অসহায় শ্রমিকের পাশে আছি।
তৃণমূল বিধায়ক ও নারী-শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ওড়িশাতে আবার মুর্শিদাবাদ থেকে তিনজন পরিযায়ী শ্রমিক, তাঁদের ওপর আক্রমণ হয়েছে।

