প্রতিবেদন : গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজ্য সরকার তাঁদের ঋণ প্রদানের কাজে গতি আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার ও স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স সাব-কমিটির যৌথ উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিষয়ক একটি পর্যালোচনা বৈঠকে এ বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
রাজ্যের কিছু জেলায় ঋণ সংযোগের গতি সন্তোষজনক। কয়েকটি জেলায় এখনও সেই গতি আসনি। তাই প্রশাসনিক পর্যালোচনায় সেই জেলাগুলিতে ঋণ প্রদানের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয় গড়ে তুলে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দ্রুত ঋণপ্রদান নিশ্চিত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ঋণপ্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও ডিজিটাল করতে নতুন পরিকাঠামো গঠনের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিক, ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিরা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠী দফতরের কর্তারা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-গঙ্গাসাগর মেলার পর্যালোচনায় সন্তুষ্ট নবনিযুক্ত জেলাশাসক
প্রশাসন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে গ্রামীণ বাংলার আর্থিক কাঠামো মজবুত হবে এবং মহিলাদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার পথ আরও প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের বিশ্লেষণ, নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই সিদ্ধান্ত শাসক দলের গ্রামীণ মহিলা ভোটব্যাঙ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাঁদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গত দেড় দশকে গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তার অন্যতম। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ঋণপ্রাপ্তির সুবিধা বাড়লে সেই কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে। নবান্নের দাবি, এটি কোনও নতুন বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং দীর্ঘদিনের চলমান কর্মসূচির ধারাবাহিকতা। রাজ্য সরকার বছরের বিভিন্ন সময়ে ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ প্রদান করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করে। এবারের উদ্যোগ সেই প্রক্রিয়াকেই আরও দ্রুত ও কার্যকর করার প্রয়াস, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নয়নের প্রবাহ পৌঁছায়।

