প্রতিবেদন : শুরুতেই বিপুল সাড়া মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভবিষ্যৎ’ প্রকল্পে। মাত্র তিন মাসে এই প্রকল্পে আবেদনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৭০ হাজারের গণ্ডি। যুব প্রজন্মকে নিজস্ব ব্যবসার মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ করে দিতে চালু হওয়া ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প চালু হয় ১ এপ্রিল। সেখান থেকে এ পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে ১৩ হাজারের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ঋণের অনুমোদন মিলেছে।
আরও পড়ুন-বিভ্রান্তিকর ও জনবিরোধী নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, নিউটাউনে পার্কিং ফাইন বাতিল
রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডে জানিয়েছেন এই অর্থবর্ষে দু’লক্ষ মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। তা পূরণ হবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ওই ক্রেডিট কার্ড দিতে রাজ্য সরকার ‘ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্ট ফান্ড ফর মাইক্রো অ্যান্ড স্মল এন্টারপ্রাইজেস’-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে। তারাই আবেদনকারীদের ঋণ দেওয়ার সুযোগ করে দেবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক এই প্রকল্পে সহযোগী হতে উত্সাহ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যেই দুটি ব্যাঙ্ক এই প্রকল্পে যোগ দিয়েছে বলে তিনি জানান। এই ভবিষ্যতে যে উদ্যোগ তৈরি হবে, তার প্রকল্প ব্যয়ের ১০ শতাংশ অর্থ রাজ্য ‘মার্জিন মানি’ হিসেবে দেবে।
আরও পড়ুন-সোমনাথের হাতে বাতিল জিনিস তুলছে সুর-ঝঙ্কার
এই বাবদ প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ভর্তুকি পাবেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে সাড়ে তিনশো কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ রেখেছে অর্থ দফতর। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আগেই তরুণ প্রজন্মের এবার তাদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করতে শুরু হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রকল্প। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সি যুবক-যুবতীদের ব্যবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড চালুর কথা ঘোষণা করেন।