মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মূল দোষী আব্বাসের ফাঁসির সাজা ঘোষণা শিলিগুড়ি আদালত। বিকেল ৪ টা বেজে ৫০ মিনিটে আব্বাসকে ফাঁসির সাজা শোনায়। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বারংবার আদালতের কাছে জানানো হয়েছিল মাটিগাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং প্রমাণ লোপাট করার জন্য পাথর দিয়ে মাথা থেতলে দেওয়ার ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা এই ঘটনায় ফাঁসির আবেদন জানানো হয়েছিল আব্বাসের অবশেষে আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস পরিবারের।
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে সরব পার্থ ভৌমিক
২০২৩ সালের ২১ অগাস্ট খুন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্কুল থেকে ফেরার পথে ওই নাবালিকাকে সাইকেলে করে পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় আব্বাস সেখানেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে পাথর দিয়ে মাথা থেতলে খুন করে সে। তবে, মহম্মদ আব্বাসের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা রয়েছে তার ওপর আর একবার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। মহম্মদ আব্বাসের ওপর যে সমস্ত ধারা রয়েছে খুন, অপহরণ, প্রমাণ লোপাট, ধর্ষণ। সাজা ঘোষণার এই রায়ের দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা শহরবাসী। সকাল থেকে কোটচত্বরে ভিড় করেছিল নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।
নাবালিকার পরিচয় লোপাট, ধর্ষণ, খুন, অপহরণ-সহ একাধিক মামলায় ৩৬৬, ৩৭৬ এ, ৩০২, ৩৭৫ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে।পরবর্তীকালে আব্বাসকে পুলিশ গ্রেফতার করলে জানুয়ারি মাস থেকে এই ঘটনার ট্রায়াল চলতে থাকে। এরপর আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সাজা ঘোষণার দিনক্ষণ ঠিক করা হয় ৭ সেপ্টেম্বর। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, মাটিগাড়ার স্কুলছাত্রীকে প্রথমে অপহরণ এবং তারপর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা শোনালো আদালত। এদিন অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন শিলিগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল সেশনস জাজ কোর্টের (পকসো) বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর। আজ শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা হওয়ার পরই আদালত চত্বরে উল্লাসে মেতে ওঠেন তাঁরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন নাবালিকার মা। সাজা ঘোষণার পর তিনি বলেন, “আমার মেয়ে বিচার পেল।”