অনুরাধা রায় : জন্ম থেকেই ওরা মূক ও বধির। অসহায় জীবনের পথে হাঁটছিল ফুলের মতো কয়েকজন শিশু। অনিশ্চতার বেড়াজালে আটকে যায় তাদের জীবন। তখনই এসএসকেএম হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা এইসব শিশুদের নতুন জীবন উপহার দেন। ২০১৫ সালে সফল অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপনের (ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট) পরে ৮৯ জন শিশু আজ সুস্থ। স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন-বারাণসীতে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে হাওড়ায় পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস
তারা আজ ঝরঝর করে কবিতা বলে। বাবা-মার বকুনি শুনে চিৎকার করে কাঁদে। বায়না করে। তবে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট যন্ত্রটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল। দাম ৫ লক্ষ টাকা। সব পরিবারের পক্ষে এই যন্ত্রটি কেনার সামর্থ্য থাকে না। রাজ্য সরকারের কাছে শিশুর বয়স এবং নির্দষ্ট প্রমাণ দিয়ে আবেদন করলে যন্ত্রের খরচ পাওয়া যায়। এর জন্য কোনও স্কিম নেই। ইতিমধ্যেই একটি টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। সরকারি তরফে প্রথমে ৫০০ বধির শিশুর জন্য ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট যন্ত্র দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
আরও পড়ুন-গর্জে উঠল ছাত্ররা
বৃহস্পতিবার বিশ্ব শ্রবণ দিবসে এসএসকেএম অডিটোরিয়ামে শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়া ওই শিশুদের নিয়ে হল অনুষ্ঠান। অভিভাবকদের হাত ধরে তারা প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিল। ওদের নাচ, গান, আবৃত্তিতে হাসপাতালের অডিটোরিয়াম গমগম করে ওঠে। ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য, এসএসকেএমের ইনএনটির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ অরুণাভ সেনগুপ্ত, ডাঃ অরিন্দম দাস প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালে শ্রবণ চিকিৎসা আরও উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’