মোকা দিক পরিবর্তন করলেও পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সতর্ক জেলা প্রশাসন। সুন্দরবনের কালিন্দী, রায়মঙ্গল, ইছামতি নদীতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল মহড়ার পাশাপাশি স্থলপথে মাইকিং প্রচার শুরু করেছে। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সাইক্লোনের সচেতনতা বার্তা দিচ্ছেন দলের সদস্যরা। উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লক, হাসনাবাদ, হাড়োয়া ও মিনাখাঁ এই ৬ ব্লকে শুক্রবার সকাল থেকে একদিকে নদীবাধ পরিদর্শন, অন্যদিকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের মহড়া শুরু হয়েছে। সেই মহড়ার ছবি দেখা গেল কালিন্দী, রায়মঙ্গল, ইছামতি, বেতনি-সহ একাধিক নদীতে। অন্যদিকে স্থলপথে মাইকিং করে ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে সাইক্লোন সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় এলে কী করতে হবে, কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে সবটাই হাতেকলমে দলের সদস্যরা বুঝিয়ে দিলেন মানুষকে। ইতিমধ্যে হিঙ্গলগঞ্জের কালীতলা, যোগেশগঞ্জ, সন্দেশখালি, ধামাখালির বিভিন্ন নদীর পয়েন্টে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা মাইকিং প্রচার শুরু করেন। মোকা সতর্কতায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ৬টি টিম কাজ করছে রাজ্যে। প্রত্যেকটি দলে ৩৩ জন করে সদস্য রয়েছেন। এ-ছাড়াও বসিরহাট মহকুমার ১০ ব্লকে সিভিল ডিফেন্সের ১০টি দলের প্রতিটিতে ১২ জন করে সদস্য কাজ করছেন। বাদুড়িয়া, বসিরহাট ও টাকি পুরসভা সুন্দরবনের দশটি ব্লকে ১২০ জন আপদা মিত্র মোতায়েন করেছে। জাতীয় বিপর্যয়ের মোকাবিলার দুটি দলের একটি হিগলগঞ্জে, আরেকটি সন্দেশখালির ধামাখালিতে রয়েছে। বড়সড় বিপর্যয় এলে দ্রুত সবাইকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার সবরকম ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও সেচ দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। পুরনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে দক্ষ আধিকারিকদের নামানো হয়েছে। বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে খোলা কন্ট্রোল রুম থেকে মিলবে ২৪ ঘন্টার পরিষেবা।
আরও পড়ুন- পথ দুর্ঘটনায় আহতের উদ্ধারকীরকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করতে উদ্যোগী রাজ্য