প্রতিবেদন : নিরাপত্তা ও জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কারণ দেখিয়ে বোরখা-সহ সমস্ত মুখঢাকা পোশাকে এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুইজারল্যান্ড। আর এই পোশাকবিধি মানা না হলে জরিমানারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্টে এই সংক্রান্ত বিল এনে তা পাশ করানো হয়। ইউরোপের এই দেশে নিরাপত্তার অজুহাতে এমন ফতোয়া জারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ও একাধিক নাগরিক সংগঠন। পার্লামেন্টে বিল পাশ করানোর বিরুদ্ধে সরব সে-দেশের একাধিক রাজনৈতিক দলও।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে আদিবাসীকে মার বিজেপি নেতার
বুধবারই বোরখা-সহ সমস্ত মুখঢাকা পোশাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি বিল পাশ করেছে সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্ট। তবে তার আগেই সংসদের উচ্চকক্ষে সবুজ সংকেত পেয়েছিল বিতর্কিত এই বিলটি। বুধবারের পর তা আইনে পরিণত হল। এই পোশাক ফতোয়া নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
আরও পড়ুন-সামনের লোকসভাতেই ৩৩% মহিলা প্রার্থী দিয়ে দেখাক বিজেপি, দাবি ডেরেকের
সুইজারল্যান্ডের নতুন এই আইন অনুসারে এবার থেকে বোরখার পাশাপাশি সমস্ত মুখঢাকা পোশাক পরা আইনত নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর তা না মানা হলে দোষীদের ১ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক বা প্রায় ১ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিতর্কিত বিল নিয়ে চরম আপত্তি দেখিয়েছে মধ্যপন্থী ও বাম দলগুলি। যদিও সুইজারল্যান্ডের দক্ষিণপন্থী দল ‘সুইস পিপলস পার্টি’র দাপটে পার্লামেন্টে বিলটি অনায়াসেই পাশ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-যাদবপুরে রাত দশটার পর বন্ধ হস্টেলের গেট
২০২১ সালে মুখঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে সুইজারল্যান্ডে প্রথম গণভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতে নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই মত দেন অধিকাংশ মানুষ। তবে গণভোটে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে মত এলেও ভোটাভুটিতে জয়ের ব্যবধান বেশি ছিল না। ইতিমধ্যেই এই ধরনের মুখঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপের অনেক দেশেই। আসলে গত কয়েক বছর ধরে বাড়তে থাকা জঙ্গি হামলার কারণে এই ধরনের পোশাকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অনেক দেশই। তাদের মধ্যে সুইজারল্যান্ডও ছিল। অবশেষে সেখানে নিষিদ্ধ হল বোরখা, হিজাবের মতো পোশাক।