প্রতিবেদন : বেঁচে থাকার জন্য অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান মৌলিক চাহিদার মধ্যে পড়ে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রয়োজন মেটাতে মানুষ মাথা গোঁজার জায়গা নির্বাচন করে। কিন্তু জনসংখ্যাবহুল ভারতে চাহিদা মেটার মতো বাসস্থান পাওয়া খুব সহজ নয়। এক একটি শহরের বিশেষত্ব আলাদা। বহুমুখী সুযোগসুবিধার মাপকাঠিতে নির্ভর করে বাসযোগ্যতার নিরিখে এক-একটি শহরে থাকার চাহিদা ও খরচ। পাশাপাশি নির্ভর করে বাড়ির দাম।
আরও পড়ুন-শিল্পের সমাধানে ৫ লক্ষ শিল্পোদ্যোগী
দেশের মধ্যে কোন শহর দামি আর কোন শহরই বা তুলনামূলকভাবে সস্তা তা নিয়ে নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া নামের এক নামকরা সম্পত্তি বিষয়ক পরামর্শদাতা সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে ভারতের সবথেকে দামি শহর হল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। অন্যদিকে সস্তা বাসযোগ্য শহর হল আমেদাবাদ।
আরও পড়ুন-আজ জয়ে ফিরতে মরিয়া মোহনবাগান
নানা মাপকাঠিতে কীভাবে এক-একটি শহরের শ্রেণিবিন্যাস হয়েছে? সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনও শহরে বসবাস কতটা সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে, তার বিচার করা হয়েছে ওই শহরে হোমলোন দিয়ে বাড়ি কেনার পর মাসিক কত ইএমআই দিতে হয়, তার সঙ্গে শহরে বসবাসকারী পরিবারের গড় আয়কে ভাগ করে। অর্থাৎ যদি কোনও পরিবারের আয়ের ৪০ শতাংশ মাসিক ইএমআইতে খরচ হয়, তবে তাকে গড় বাসযোগ্য বলে গণ্য করা হবে। আর এই হিসেব বলছে সবথেকে ব্যয়বহুল শহর হল মুম্বই। কারণ দেশের বাণিজ্যনগরীতে বাড়ির ইএমআই বাবদ পরিবারের গড়ে ৫৫ শতাংশ রোজগার ব্যয় হয়। অর্থাৎ মাসিক আয়ের অর্ধেকেরও বেশি গৃহঋণ মেটাতেই খরচ হয়ে যায়। এমনিতে মুম্বইয়ে সাধারণ মধ্যবিত্তের অস্তিত্ব থাকলেও বলিউডি শহরে চলচ্চিত্র তারকা সহ তাবড় শিল্পপতিরা বাস করেন। সুযোগসুবিধার নিরিখে দেশের বাণিজ্যনগরীতে বাড়ির খরচ তাই আকাশছোঁয়া।
আরও পড়ুন-জিতলেই সিরিজ, ফের নজরে বুমরা, আজ দ্বিতীয় ম্যাচ
ভারতের খরচসাপেক্ষ শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ। হিসেব বলছে, এই শহরে বাড়ি কেনার জন্য আয়ের প্রায় গড়ে ৩১ শতাংশ ইএমআই-তে ব্যয় হয়। তৃতীয় স্থান দখল করেছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে আয়ের ৩০ শতাংশ ইএমআই শোধ করতেই চলে যায়। চেন্নাই চতুর্থ স্থানে এবং পঞ্চম স্থানে মহারাষ্ট্রের পুণে। সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে পুণের মতোই খরচসাপেক্ষ কলকাতাও। এই শহরেও মাথার উপরে ছাদ তৈরি বা বাড়ি কিনলে নিজের রোজগারের ২৬ শতাংশ মাসিক ইএমআই-তে খরচ করতে হয়। অন্যদিকে সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে, দেশের মধ্যে সবথেকে সস্তা শহর হল আমেদাবাদ। এখানে বাড়ির জন্য ইএমআই হিসেবে ২৩% খরচ করতে হয়। তবে যে হারে মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে, তাতে ঘর-বাড়ির দামও চড়চড়িয়ে বাড়ছে। ফলে এই শহরে বসবাসও ক্রমশ দামি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।