মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) রায়গড়ে অমানবিকতার চরম উদাহরণ প্রকাশ্যে। এক মহিলাকে চরম নির্যাতনের শিকার হতে হল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে। যৌন হেনস্থার পরেও নিস্তার নেই। প্রতিবাদ করায় তাঁর গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুড়ো দিয়ে দিল শ্বশুর। এখানেই শেষ নয়, শাশুড়ি লোহার শিক গরম করে পুড়িয়ে দিয়েছে গোপনাঙ্গ ও পা। সূত্রের খবর, এক যুবক তাঁকে যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করেছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর ওই মহিলা বাড়িতে ছিলেন এবং সেই সময় পরিচিত এক যুবক বাড়িতে স্টিম মেশিন চাইতে এসেছিলেন। পরিচিত হওয়ায় দরজা খুলে মহিলা দরজার পাশে রাখা মেশিন নিয়ে নিতে বলেন সেই যুবককে। সুযোগ বুঝে ওই যুবক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করে। দরজা বন্ধ করে তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিজের সম্মান বাঁচাতে মহিলা চিৎকার করতে থাকেন। চিৎকার শুনে তাঁর ননদ ছুটে আসে। সেই সময় অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-এবার নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন, ঘটনাস্থলে একাধিক দমকলের ইঞ্জিন
ননদ ওই মহিলার শ্বশুর-শাশুড়িকে যৌন হেনস্থার ঘটনা জানায়। কিন্তু এই অবস্থায় পুত্রবধূর পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাঁরা ওই মহিলাকে দোষ দিয়ে কটু কথা শোনাতে শুরু করে। পোশাক খুলিয়ে, নগ্ন করে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এর ফলে ওই মহিলা জ্ঞান হারান। পরের দিনও একইরকম অত্যাচার চলে। ফের তাঁকে নগ্ন করে মারধর করা হয়। এরপর মহিলার শ্বশুর তাঁর গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ভরে দেন। শাশুড়ি লোহার রড গরম করে গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেন। শরীরের অন্যান্য অংশও পুড়িয়ে দেন তারা। চিকিৎসা তো দূর, ওই অবস্থায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে রাখেন তারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা দেখতে পেয়ে, মহিলার বাপের বাড়িতে খবর দেন।
আরও পড়ুন-বাংলার বাড়ির টাকা বড়দিনের মধ্যেই ১২ লক্ষ অ্যাকাউন্টে
পরের দিন ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুর তাঁকে বাইকে করে থানার কাছে ফেলে দিয়ে আসে। ওই মহিলা কোনওমতে নিজের বাড়িতে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান হেনস্থাকারী যুবক, স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ, নির্যাতন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।