সংবাদদাতা, নদিয়া : রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে খুশি মুকুটমণি অধিকারী। নিয়মমাফিক প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও তাঁর কৃষ্ণগঞ্জ মাজদিয়ার বাড়িতে রোগী দেখেছেন। কদিন আগে লোকসভা ভোটে রানাঘাটে হারার পরই দল ফের তাঁর উপর ভরসা রাখায় খুশি মুকুটমণি কৃতজ্ঞতা জানান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। সকালে তাঁর বাড়িতে ১৫ জনের বেশি রোগী দেখার ফাঁকে মুকুটমণি বলেন, ‘দ্বিধাদ্বন্দ্ব মিটিয়ে সমস্ত কর্মী, নেতৃত্ব একসঙ্গে এই লড়াইয়ে নেমে জয় ছিনিয়ে আনব।’
আরও পড়ুন-নির্বিঘ্নে কুরবানি ইদ পালনে কাঁকসায় পুলিশ-প্রশাসনের সভা
উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরই শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথমেই কুপার্সে ভোটপ্রচার সারলেন মুকুটমণি। কুপার্সের বাজার এলাকায় দোকানিদের সঙ্গে করলেন করমর্দন, করলেন, কাউকে নাড়লন হাত। তৃণমূল নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে বেরোনোর আগে এক কালীমন্দিরে পুজো দেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকেই জয়ী হয়ে বিধায়ক হন মুকুটমণি। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। শূন্য হওয়া এই বিধানসভা আসনে ভোট হতে চলেছে। শনিবার তিনি তৃণমূল ভবনে যান। সেখান থেকে ফিরে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানান মুকুটমণি। বলেন, প্রচারে বেরিয়ে প্রথম দিনই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। মানুষ আমাদের সঙ্গে যে আছে তা বুঝতে পেরেছি। তাই জেতার ব্যাপারে আমি একশো শতাংশ আশাবাদী। প্রসঙ্গত, ৩০ শতাংশের বেশি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বাস কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে। মোট ভোটার ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৩২। মুকুটমণি বলেন, ‘পার্টির নির্দেশ রয়েছে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে সকলকে নামতে হবে। কেউ পার্টির ঊর্ধ্বে নন। সারা বছর যতটা পারি এলাকার মানুষকে বিনা খরচের পরিষেবা দিই। তৃণমূলে থেকেই মানুষের সেবা করে যাব।’