সংবাদদাতা, সিউড়ি : চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত বীরভূম জেলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা চিকিৎসা পরিষেবার জন্য বরাদ্দ করেছে নবান্ন। এই জেলার বেসরকারি হাসপাতালগুলি ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে নামীদামি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়েছেন বীরভূমের বাসিন্দারা। জেলায় সব থেকে বেশি টাকার পরিষেবা পেয়েছেন নানুর ব্লকের বাসিন্দারা। জেলা স্বাস্থ্যসাথী বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে ১০ লক্ষ ৮৪হাজার ৬১৫ জনের। কিন্তু এই প্রকল্পের মোট উপভোক্তা ৪০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৯৩ জন।
আরও পড়ুন-১১ বিধানসভায় জয়ের রূপরেখা গড়তে কাল বৈঠকে কোর কমিটি
চলতি অর্থবর্ষে এখনও অবধি মোট ৭০ হাজার ৪৭০ জন উপভোক্তা সুবিধা পেয়েছেন।এঁদের জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১১৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। শুধু নানুর ব্লকের জন্য এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৮ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। তবে কম বসতি অঞ্চল হওয়ায় তুলনায় অন্য পুরসভার থেকে কম খরচ হয়েছে নলহাটি পুরসভার বাসিন্দাদের জন্য। জেলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত ৫১টি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টিই প্রকল্পে পরিষেবা দিয়েছে। অন্য তিনটি হাসপাতালে সরকারি কিছু নির্দেশিকার কারণে আপাতত পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ২৫টি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেও এই প্রকল্পে সুবিধা দান করা হচ্ছে।আরও জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে হচ্ছে। রাজ্যের ভিনজেলায় উন্নত পরিষেবাযুক্ত হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়েছেন বহু হৃদরোগী। কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদনের একদিনের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় রোগীর নাম নথিভুক্ত করে একদিনেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্যসাথী বিভাগ। এছাড়াও রোজই সিউড়ির স্বাস্থ্যসাথী সেলে প্রকল্পের কার্ডে বিভিন্ন সংশোধনীর জন্য উপভোক্তারা পরিষেবা পাচ্ছেন। রোগীর চিকিৎসার পর রাজ্যস্তর থেকে রোগীকে ফোন করে খবর নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুবিধা-অসুবিধার কথাও। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে খুশি জেলার সাধারণ মানুষ। এই প্রকল্পে জেলার সাফল্য প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন দুঃস্থ মানুষদের আপৎকালীন গুরুত্বের চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্যদানের জন্য। কিন্তু এই পরিষেবা সার্বিকভাবে রাজ্যের সমস্ত মানুষই পাচ্ছেন। এই জেলাতেও প্রতি বছর প্রচুর মানুষ পরিষেবা পান। প্রশাসনিকভাবে আমরাও জরুরি ভিত্তিতে কোনও প্রয়োজনে রোগীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই।