প্রতিবেদন: মোদি জমানায় এমনিতেই দেশে কর্মসংস্থানের বেহাল দশা। দিন দিন বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। তার উপর লোকসভা ভোটের মুখে এবার চাকরি হারালেন কয়েকশো আধিকারিক। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশেই কর্মহীন হয়ে গেলেন তাঁরা। এলজি ভি কে সাক্সেনার নির্দেশে দিল্লি মহিলা কমিশনের (Women’s Commission) ২২৩ জন কর্মীকে অপসারণ করা হয়েছে। অভিযোগ, দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল তাঁর আমলে বিনা অনুমতিতে এই কর্মীদের নিয়োগ করেছিলেন। আচমকা কর্মচারীদের অপসারণের নির্দেশে ডিসিডব্লিউ আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, কমিশনে মাত্র ৪০টি পদের অনুমোদন রয়েছে। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার বক্তব্য, দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের ২২৩ কর্মচারীর চাকরি অনিয়মিত এবং অবৈধ। তাই তাঁদের অপসারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন-ভোটে জিতলে বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ট্রাম্প!
আইন অনুযায়ী, মহিলা কমিশনের কর্মী রাখার কোনও ক্ষমতা নেই। এরপরেও সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত মহিলা কমিশনে ২২৩টি অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়েছিল। কয়েকদিন পর ডিডব্লিউসিডির পক্ষ থেকে ডিসিডব্লিউকে জানানো হয়, প্রশাসনিক বিভাগ ও অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া ওই অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলি সরকারের অতিরিক্ত আর্থিক দায়বদ্ধতার কোনও কাজ করবে না। এরপর ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর জেলা মহিলা কমিশনকে ফের জানানো হয়, এই ২২৩টি পদ সৃষ্টির জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদন নেই। দিল্লি মহিলা কমিশনের (Women’s Commission) অতিরিক্ত ডিরেক্টরের জারি করা এই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, নতুন নিয়োগের আগে প্রয়োজনীয় পদগুলির কোনও মূল্যায়ন করা হয়নি বা অতিরিক্ত আর্থিক বোঝার জন্য অনুমতি নেওয়াও হয়নি। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে জমা দেওয়া তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কমিশনের চেয়ারপার্সনের পদ থেকে ইস্তফা দেন স্বাতী মালিওয়াল। আম আদমি পার্টির হয়ে রাজ্যসভায় সাংসদ পদের জন্য তাঁকে মনোনীত করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যে ২২৩ জন কর্মীকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের স্বাতী মালিওয়ালের আমলে রাখা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে স্বাতী মালিওয়ালের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে কর্মী নিয়োগের অভিযোগ উঠছে। বলা হয়েছে, কর্মীদের নিযুক্ত করার জন্য এনসিটি দিল্লি সরকারের কাছ থেকে কোনও প্রশাসনিক অনুমোদন এবং অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন নেয়নি। এমনকী বিভিন্ন পদে নিযুক্ত কর্মীদের দায়িত্বও নির্দিষ্ট নয়।