সংসার আর অফিস সামলাতে গিয়ে রিমির বেডরুম, ড্রয়িংরুমের দেওয়ালে পুরু ধুলো, ছাদ বেয়ে নামছে ঝুল। পাখার ব্লেডে জট পাকানো ময়লা। সপ্তক রোজ রিমিকে দেখায়। একদিন তো রিমি রাগে সপ্তককে এই মারে কি সেই মারে। সংসারের দায় কি তার একার! তাকে ডেকে ডেকে অগোছালো সংসার দেখানোর মানেটা কী। রিমি যে পরিপাটি, সংসারী নয় তা কি সপ্তক জানত না? বিয়ের পরপর ক’দিন শখ করে বেশ ঘর সাজিয়েছিল রিমি। আসলে বিয়েতে অনেক সুন্দর-সুন্দর ঘর সাজানোর জিনিস পেয়েছিল ওরা। কিন্তু সাজালেই তো হল না, সেগুলোর দেখভালটাও তো জরুরি। চাকরিতে জয়েন করার পর থেকে সব গয়ংগচ্ছ। মেয়ের পড়া, টিউশন, অফিসের কাজের চাপ, রান্না, প্রায় দিন কাজের লোক কামাই, বাসন মাজা, ঘর-মোছা— পুরো ঘেঁটে গেছে রিমির জীবনটা। তাও সপ্তকের পিটেপিটেপনার শেষ নেই। আজকে রিমি ঠিক করেছে ঘর সাফাই করবেই। বাড়ির ঝুলকালি, আবর্জনা, মেয়ের আগের ক্লাসের বইপত্র সব ফেলবে আজ। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ঝুলকালি পরিষ্কার করতে গিয়ে হঠাৎই রিমি সেদিন খুঁজে পেল নিজের করা বেশ কয়েকটা গ্লাস পেন্টিং। ও ভুলেই গেছিল সেগুলোর কথা। একটা সময় কত পেন্টিং করত রিমি। এগজিবিশনও করেছে। কত মানুষ নিয়েছে ওর গ্লাস পেন্টিং। আজ কোথায় কী! এখন আর চাইলেও আর পারবে না। সেই কনফিডেন্সটাই নেই, আর নেই সময়।
সত্যি সংসারের জাঁতাকলে পড়ে নিজের শখ-আহ্লাদ বিসর্জন দেওয়া রিমির মতো এমন মেয়েদের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। বরং বেশিরভাগ বিবাহিত মেয়ের এটাই পরিণতি। সমীক্ষা বলছে, বিয়ের পর পুরুষের কেরিয়ার ঊর্ধ্বগামী হয়, ওদের মধ্যে গুণের বিকাশ হয় আর মহিলাদের ক্ষেত্রে হয় ঠিক উল্টোটা। সকাল থেকে সংসার সামলে, বরের টিফিন গুছিয়ে নিজের সব পছন্দ, অপছন্দ, ভাললাগা ভুলে হয় চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটিয়ে দেয় আর না হয় চাকুরিরতা হয়ে দু’দিক সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে থাকে। আনন্দ, শখ-আহ্লাদ, আত্মিক উন্নতি শিকেয় তুলে শুধু নিজেকে প্রমাণ করতে করতে বেরিয়ে যায় সময়। আসলে জীবন যেমনই হোক না কেন ভিতরের আমিটাকে বাঁচিয়ে রাখা খুব জরুরি। হাজার দৌড়-ঝাঁপের মাঝেও নিজের পছন্দগুলোকে নতুন করে ঝালিয়ে নিলে মন্দ কী বরং শখ মেটানো তাগিদ, ইচ্ছে কোথাও না কোথাও আত্মিকভাবে আপনাকে উন্নতির দিকে ঠেলে দেবেই। জীবনযাত্রার মান হবে উন্নত। কারণ সবকিছুই তো আমাদের মনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। তাই এমন কোনও হবি বা শখ আবার ফিরিয়ে আনুন যা একটা সময় ছেড়ে দিয়েছিলেন অথবা নতুন কোনও হবি গড়ে তুলুন যা আপনার সৃষ্টিশীল মনকে আবার জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু হবি বা শখ রয়েছে যাতে অভ্যস্ত হলে সৃষ্টিশীলতায়, আত্মবিশ্বাসে নিজেকেও ছাপিয়ে যেতে পারবে নারী, হয়ে উঠবে এক নতুন আমি।
আরও পড়ুন-প্রি-ইন্টারলকিংয়ের জন্য টানা ১৯ দিন বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা,হাওড়া এবং খড়গপুর ডিভিশন
ছবি তোলা বা ফটোগ্রাফি
ছবি তোলা এমন একটা শখ যা আপনাকে আত্মপ্রকাশে সাহায্য করছে। আপনার সৃষ্টিশীল দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটবে ক্যামেরার একটা ক্লিকে। এই জগৎকে আপনি অনেকগুলো পার্সপেকটিভে দেখতে পারবেন এবং সেই দৃষ্টিকোণ আপনার অভিজ্ঞতার, মননশীলতার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলবে। ফটোগ্রাফি আপনার অগাধ কল্পনাশক্তির আধার হয়ে উঠবে। নিজের ভিতরে সবরকম ইচ্ছে, চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন, চেতনার বাস্তব রূপ আপনার চোখের সামনে ফুটে উঠবে আপনারই তোলা ছবির মাধ্যমে। অনেকটা বেড়ে যাবে আত্মবিশ্বাস।
বাগান করা বা গার্ডেনিং
গার্ডেনিং খুব সুন্দর একটা শখ। যদিও এর জন্য একটা পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন থাকে। প্রশিক্ষণেরও দরকার হয়। তবে ভাললাগা থাকলে এগুলো কোনও সমস্যা নয়। গাছপালা প্রকৃতির চাহিদা বুঝতে পারলে বা উপলব্ধি করলে নিজের সাজানো বাগানটি তৈরি করতে সময় লাগবে না। সারাদিনের ফাঁকে রান্নাঘরে একচিলতে পরিসরে বা ছাদে বা বারান্দার এক কোণে সুন্দর আর্টিস্টিক পটে ফুল, ফল, সবজি ফলাতেই পারেন। একজন বাগান বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে কাজটা সহজ তো হবেই যখন টবে আপনার পরিশ্রমের ফসলটিকে দেখবেন তখন সৃষ্টি করার সেই আনন্দটা অনুভব করতে দারুণ লাগবে। এতে আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়বে তেমন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করবেন।
অনেক বেশি মাটি-ঘেঁষা অর্থাৎ গ্রাউন্ডেড হয়ে উঠবেন। এমন মাটির মানুষ যাকে কোনওদিন কোনও অবসাদ স্পর্শ করবে না।
বইপড়া
স্ক্রিন টাইম শব্দটা ইদানীং কানে খুব বাজে। স্ক্রিন টাইম এ-যুগে আমাদের দায়িত্ব কর্তব্যের চেয়েও অনেক বেশি হয়ে গেছে। বাড়ির মহিলারা হাজার ঝক্কি পোহানোর পর এক-আধটা রিলস বানিয়ে সমাজমাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে ভিউ তুলতে কোনও কসুর রাখেন না। কিন্তু রিলস কালচার মনকে সাময়িক উত্তেজনা, আনন্দ দিলেও লাইফ লং সাপোর্ট কিন্তু একেবারেই দেয় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন রিলস দেখতে দেখতে একটা সময় অবসাদ আসেই। শর্ট ভিডিও মস্তিষ্কের ক্রিয়াশীলতা নষ্ট করে। তাহলে রিলস না করে নতুন করে বইপড়ার অভ্যেসটা আবার ফিরিয়ে আনুন না। অন্যের হাঁড়ির খবর না জেনে সাহিত্যের ভাণ্ডারে ডুব দিয়ে দুটো-চারটে মণিমুক্তো তুলে নিলে আপনারই তো লাভ। পছন্দের বিষয়ের বই যে পড়তে হবে তা কেন, নতুন নতুন বিষয়ের বই পড়ুন না। নতুনকে জানার আগ্রহ আপনার জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করবে সেই সঙ্গে বই আপনাকে অনেক ঋজু, নমনীয়, পরিণত হতে সাহায্য করবে। সারাদিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর সাহিত্যচর্চা মনের শরীরের সব ক্লান্তি দূর করে দেবে। ধৈর্য বাড়াবে। আপনি হয়ে উঠবেন আক্ষরিক অর্থেই এক মননশীল নারী।
আরও পড়ুন-ভুতুড়ে ভোটার ধরতে নিজের ওয়ার্ডে গৌতম
কুকিং আর বেকিং
রান্নাটাই শুধু পারেন আর কিছু না? তাহলে কুকিংটাই হোক না আপনার সৃষ্টিশীল মনের প্রকাশ। রান্না কিন্তু খুব সৃষ্টিশীল একটা কাজ। মাইক্রোকুকিং থেকে শুরু রান্নার খুঁটিনাটি কায়দা রপ্ত করলে অনেক কিছুই শুরু করতে পারবেন। এই মুহূর্তে কুকিং ভাললাগাগুলো বেশ জনপ্রিয় সেই সঙ্গে বেকিং প্ল্যাটফর্মেরও বেশ রমরমা। বেকিংও শিখতে পারেন আবার চাইলে পরবর্তীতে শেখাতেও পারেন। একদিকে সৃষ্টিশীলতা আপনাকে সমৃদ্ধ করবে অন্যদিকে উপার্জনেও সাহায্য করবে। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে রান্নায় নানা ধরনের নিত্যনতুন এক্সপেরিমেন্ট, বেকিং আপনার মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করে দেবে নিমেষে। মস্তিষ্ক যত সচল থাকবে তত অনেক রোগভোগ থেকে দূরে থাকবেন।
আর রান্না-খাওয়ার সঙ্গে মনের একটা যোগ রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্কের চাবিকাঠি কিন্তু সু-স্বাদের রান্না।
নতুন ভাষা শেখা
বিশেষজ্ঞদের মতে নতুন যা কিছুই শিখবেন বাড়বে মস্তিষ্কের ক্রিয়াশীলতা বিশেষ করে নতুন ভাষা। নতুন ভাষা শেখার অনেক উপকারিতা। প্রথমত নতুন শেখার মধ্যে একটা আনন্দ থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, নতুনভাবে নিজেকে চেনা যায় দ্বিতীয়ত নতুন ভাষা শিখলে ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্সের মতো লাইফস্টাইল ডিজিজগুলো আপনাকে কোনওদিন স্পর্শ করতে পারবে না। বাড়তে থাকবে স্মৃতিশক্তি। সমীক্ষা বলছে অদূর ভবিষ্যতে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে একশো মিলিয়ান। আর এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ ব্রেন গেম বা যে কোনও পদ্ধতি যা মস্তিষ্কের ক্রিয়াশীলতা বাড়ায়। নতুন ভাষা শেখা যার মধ্যে অন্যতম। তাহলে নিজের ভাষার বাইরে নতুন ভাষা শিখলে মন্দ কী! আপনি কি বেড়াতে ভালবাসেন? তাহলে নতুন ভাষা নতুন জগতের, নতুন সংস্কৃতির দরজা খুলে দেবে আপনার চোখের সামনে। আপনার অচেনা ডেস্টিনেশন শুধু ভাষার কারণে হয়ে উঠবে ভীষণ চেনা।
আরও পড়ুন-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ফের চালু
ব্যায়ামের মতো শখ আর নেই
আপনি কি পেশাদার? সংসার সামলে অফিসটাও সামলাতে হয়। দুটো দিকেই হাজার টেনশন! তাহলে রোজকার জীবনে একটা অভ্যেস বা শখ বা হবি যাই বলুন না কেন মাস্ট। সেটা হল শারীরিক কসরত। ব্যায়াম, ডান্স বা নাচ অথবা যোগাসন সঙ্গে প্রাণায়াম।
এক্সারসাইজ তা যে পদ্ধতিতেই করুন না কেন আপনার শরীর মনকে চাঙ্গা তো করবেই, পাশাপাশি স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি, দুশ্চিন্তা, নেগেটিভ চিন্তা— সবকিছু দূর করবে। এখন তো জুম্বা ডান্স খুব পপুলার। অনেকেই যাঁরা সুরতাল ছন্দ পছন্দ করেন। সঙ্গীতের তালে তালে দুলে উঠতে চান আবার ফিটনেসও চান তাঁদের জন্য জুম্বা ডান্স আদর্শ। সুরে তালে, ছন্দে নাচতে থাকার মধ্যে শরীর এবং মনের রিল্যাক্সেশনটা সেই জানে যে এটা করেছে। এই ধরনের নাচ শরীরকে ফ্লেক্সিবল করে, টোনড করে এবং ওজন কমিয়ে দেয় তরতরিয়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে আর কী চাই!
আরও পড়ুন-জঙ্গি রুখতে পাকিস্তানিদের ভিসা বন্ধ করতে চান ট্রাম্প
পনেরো মিনিটে এনার্জি বুস্টিং ব্যায়াম
জাম্পিং জ্যাকস
এটা ফুলবডি এক্সারসাইজ। এমন একটা ব্যায়াম যা আপনাকে কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস দেবে। ক্যালরি বার্ন করবে। এতদিন ধরে জমে থাকা মেদ ঝরিয়ে আপনার মাংসপেশিকে ঝরঝরে সুঠাম করবে। আর যত বেশি ব্যায়াম তত বেশি মানসিক অবসাদ, নেগেটিভিটি থেকে মুক্তি। লাফিয়ে দু’পা ফাঁক করে দাঁড়ানো একই সঙ্গে দু’হাত উপরে তোলা আবার লাফিয়ে পা জোড়া করা একই সঙ্গে হাত নামিয়ে দু’পাশে। এটাই করতে থাকা।
পুশ-আপ
কে বলে মেয়েরা পুশ-আপ পারে না! স্ট্রেন্দেনিং এক্সারসাইজ যা আপনার শরীরে জমে থাকা ভুলভাল মেদ ঝরিয়ে চেস্ট, শোল্ডার, ট্রাইসেপ, কোর মজবুত করবে। সারাদিনের ঘরকন্না শুরুর আগে দশ মিনিটের পুশ-আপ আপনার আত্মবিশ্বাস এবং এনার্জিকে এমন উসকে দেবে যে দিনটা কেমন করে চলে গেল বুঝতেই পারবেন না! উপুড় হয়ে দু’হাত এবং দু’পায়ে ভর দিয়ে মাটি থেকে শরীরকে উপরে তুলুন এবং নামিয়ে নিন। প্রথম প্রথম সম্ভব নাও হতে পারে তাই হাঁটু পর্যন্ত অর্ধেক দেহ তুলে অভ্যেস করুন এরপর ধীরে ধীরে পায়ের পাতা থেকে পুরো দেহ তুলুন উপর দিকে। পুশ আপ করার পর নিজেকে যত আয়নায় দেখবেন অবশ্যই ভালবেসে ফেলবেন। কারণ সেলফ লাভই তো সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।
স্কোয়াট
খুব কষ্টকর মনে হলেও একবারেই তা নয়। হাত সোজা সামনের দিকে রেখে আলতো করে অর্ধেক চেয়ারে বসার মতো ভঙ্গি। অসুবিধে হলে প্রথম প্রথম সাপোর্ট নিতে পারেন। পা, কোমর, থাই অর্থাৎ মেয়েদের পেলভিক জোন থেকে নিচের অংশের বিশেষ করে পায়ের পেশিকে শক্তিশিলী করতে এর জুড়ি নেই কারণ মেয়েদের দৌড়ঝাঁপ মানেই তো পা। আর মেয়েদের পেট, কোমর এবং পায়ের অংশে সবচেয়ে বেশি মেদ জমে। সেখানেই হয় বিপত্তি তাই প্রত্যেক দিন পাঁচমিনিট স্কোয়াট অভ্যেস করুন।
প্লাঙ্ক হোল্ড
মেয়েদের সবচেয়ে বেশি মেদ জমে পেটে। যত যাই করুন, কিছুতেই কমতে চায় না। আর সেখান থেকেই যত সমস্যার উৎপত্তি। বিশেষ করে মেনোপজ হয়ে গেলে। তাই প্লাঙ্ক-এর জুড়ি নেই মেদ কমাতে। কোর এক্সারসাইজ যা আপনার ব্যাক অর্থাৎ পিঠ কোমর, পেট ও কাঁধে অতিরিক্ত স্ট্রেন্থ দেবে। ওজন কমাবে। উপুড় হয়ে শুয়ে কনুই থেকে ভর দিয়ে এবং পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে পুরো শরীরটাকে তুলে ধরুন। হোল্ড করে রাখুন যতটা সম্ভব। ছেড়ে দিন। এইভাবে রোজ অভ্যেস করুন।
মাউন্টেন ক্লাইম্বার
মাউন্টেন ক্লাইম্বার এক্সারসাইজ একেবারে পাহাড়ে চড়া অনুভূতিটাই দেবে। খুব হাই এনার্জি এক্সারসাইজ। কার্ডিও এবং কোর দুটো কম্বিনেশনে এই ব্যায়াম অনেকটা স্লোমোশনে দৌড়নোর মতো। ক্যালরি বার্ন তো করেই সেই সঙ্গে পেট, কাঁধ, পায়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। উপুড় হয়ে দু’হাতের তালু ভর দিয়ে শরীরকে উপরে তুলে রাখুন আর প্রথমে ডান পা হাঁটু থেকে মুড়ে পেটের কাছে আনুন আবার আগের পজিশনে নিয়ে যান তারপর বাঁ পা হাঁটু থেকে মুড়ে পেটের কাছে এনে আবার আগের জায়গায় চলে যান, এইভাবে প্রথমে দশবার করুন তারপর বাড়ান।