দুর্গাপুজোর ঠিক আগে ফলাফল ছিল ৩-০। এবার কালীপুজোর আগে ৪-০-এর দিন গুনছে রাজ্যবাসী। রাজ্যে উৎসবের মরশুমে শাসক দল তৃণমূলের পক্ষে উপনির্বাচনে এমনই ফলাফল হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আগামী ৩০ অক্টোবর দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসবা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ৪-০ করাই লক্ষ্য। পরিকল্পনা করেই উপনির্বাচনে একের পর এক প্রচার করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
আরও পড়ুন-৪-০ ফলাফলে জিতবে তৃণমূল, দাবি বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের
একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে বিপর্যস্ত করে রাজ্যজুড়ে বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সবমিলিয়ে ২১৩টি আসন পেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে ভোট হয়নি মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে। ওই দুটি আসন সহ ভবানীপুরে উপনির্বাচন হয় পুজোর ঠিক আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এবং ফলাফল বেরোতেই দেখা যায় ৩-০ তে জিতেছে তৃণমূল। যার মধ্যে ভবানীপুরে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কালীপুজোর আগেই বাংলায় ফের ভোট পুজো৷ বিধানসভা নির্বাচনে নজিরবিহীন সাফল্যের পর এবার ওই চারটি কেন্দ্রই বড় ব্যবধানে জয় পেতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। চার কেন্দ্রের মধ্যে দিনহাটা ও শান্তিপুর কেন্দ্রটি একুশের ভোটে ছিল বিজেপির দখলে। এবার সেই দুটি আসনও ছিনিয়ে নিতে মরিয়া তৃণমূল।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা, পেগাসাসকাণ্ডের তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটির দিকে এগোল সুপ্রিম কোর্ট
একুশের ভোটের আগে বিজেপির পালে হাওয়া ছিল তাই অনেকেই দলবেঁধে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ফলাফল একেবারে উল্টো হতেই দলে দলে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। গোসাবায় বিজেপির একুশের ভোটের প্রার্থী বরুণ প্রামানিক দলবল নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করে প্রচারও করছেন। দিনহাটায় প্রচারে বেরিয়ে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে বিজেপি প্রার্থী। খড়দহে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পরই ওই আসনটি নিশ্চিত হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের। আর শান্তিপুরে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় বিজেপি থাকলেও, গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহ অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল।