সংবাদদাতা, বোলপুর : বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী। শান্তিনিকেতনের পরিবেশে যেন অশান্তির আবহ। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই এই বিশৃঙ্খলার জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন আশ্রমিকেরা। সঙ্কট কাটাতে বুধবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিশ্বভারতী ছাত্র, কর্মী ও শিক্ষকদের এক প্রতিনিধি দল। অনুব্রত মণ্ডল তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বৈঠকে অনুব্রত বলেন, ‘আগামী ১ সেপ্টেম্বর জেলা সফরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- কালের করোনা
মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের পর ২ সেপ্টেম্বর থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’ তারপরেই, উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করার নিদান দেন অনুব্রত।
প্রসঙ্গত, উপাচার্যের একগুঁয়েমি মনোভাব এবং রবীন্দ্রভূমির সার্বিক গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে সব স্তরের মানুষ ক্ষুব্ধ। তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার। শুধুমাত্র তাঁর বশংবদ না হওয়ার জন্য একের পর এক অধ্যাপককে সাসপেনশনের নোটিশ ধরিয়ে বিশ্বভারতীর পরিবেশ রবীন্দ্রভাবধারা-বিরোধী করে তুলেছেন তিনি বলে সিংহভাগ অধ্যাপকদের দাবি। তাঁরা দাবি করেন, বর্তমান উপাচার্য রবীন্দ্র আশ্রমকে সংঘ পরিবারের আখড়া বানাতে চাইছেন। এর বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন। বিদ্যুৎবাবুু উপাচার্য পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তৈরি হয়েছে একের পর এক বিতর্ক। এমনকী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও উপাচার্যের আক্রমণ থেকে পার পাননি। বিদ্যুৎবাবুই আসলে সমান্তরাল বিতর্ক।