সন্তোষজয়ী ফুটবলারদের সংবর্ধনায় ক্রীড়ামন্ত্রীর আহ্বান, লিগে খেলুক শুধু বাংলার ছেলেরাই

সন্তোষজয়ী ফুটবলাররা ফিরছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বিমানবন্দরে যেতে বলেছিলেন। তারপর চাকু মান্ডি, রবি হাঁসদা, মনতোষ মাঝিদের নবান্নে ডাক।

Must read

প্রতিবেদন : সন্তোষজয়ী ফুটবলাররা ফিরছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বিমানবন্দরে যেতে বলেছিলেন। তারপর চাকু মান্ডি, রবি হাঁসদা, মনতোষ মাঝিদের নবান্নে ডাক। আর্থিক পুরস্কার ও সরকারি চাকরি। ক্রীড়াপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে এখন খুশির বাতাস ময়দান জুড়ে।

আরও পড়ুন-প্রবল ঝড়-বৃষ্টি মক্কায়, বন্যায় বিপর্যস্ত জনজীবন

সেদিন যিনি বিমানবন্দরে ফুটবলারদের বরণ করেছিলেন, সেই ক্রীড়ামন্ত্রী কিন্তু ভবানীপুর ক্লাবের সংবর্ধনায় এসে ফুটবলারদের মনে করিয়ে দিলেন, তোমরা সবে মাধ্যমিক পাশ করেছ। প্রথম ডিভিশন পেয়েছ। কিন্তু এখনও সামনে হায়ার সেকেন্ডারি, গ্র্যাজুয়েশন। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়। তোমরা সবাই ক্লাব পাবে। আইএসএলও খেলবে। কিন্তু থামলে হবে না। ক্লাব লনের মঞ্চ থেকে আরুপ বিশ্বাস যখন এসব বলছেন, মেরুন ট্র্যাক সুটে সজ্জিত বঙ্গ ব্রিগেডের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক। স্বপ্নও। একটু আগে কোচ সঞ্জয় সেন বলছিলেন, আমি ওদের বলেছিলাম কলকাতায় ফিরলে তোমাদের জীবনে হয়তো পরিবর্তন আসবে। কিন্তু সংবর্ধনায় হারিয়ে যেও না। সৎ থাকলে সবই সম্ভব। এটাই জীবনের মন্ত্র।

আরও পড়ুন-হঠাৎ চোটে মোলিনার চিন্তা বাড়ালেন থাপা

সন্তোষ ট্রফি জেতা দলের চারজন ভবানীপুরের প্লেয়ার। ক্লাব কর্তা সৃঞ্জয় বসুর হিসাবে, গত দু-তিন বছরে এই ক্লাবে খেলা ন’জন ফুটবলার এবারের বাংলা দলে ছিলেন। বুধসন্ধ্যার এই অনুষ্ঠান ছিল আক্ষরিক অর্থেই চাঁদের হাঁট। ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষ, কম্পটন দত্ত, অতনু ভট্টাচার্য, দুই ফুটবল কর্তা অনির্বাণ দত্ত ও সুব্রত দত্ত-সহ অনেকেই। শীতের ময়দানে একটু উষ্ণতা ছড়াতে পাওয়া গেল পত্রিকা সম্পাদক, রাজনীতিক তথা মোহনবাগান সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ ও প্রতিষ্ঠিত গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের মন কেড়ে নেওয়া ডুয়েটও। এরমধ্যে ভবানীপুর কর্তা স্বপন সাধন বসু ঘোষণা করে দিলেন, আমরা জুনিয়র অ্যাকাডেমি গড়ব। বাংলার ফুটবলার গড়ব।
সঞ্জয় এদিন বলছিলেন, আমি শুধু আমার কাজ করেছি। চেষ্টা করেছিলাম ওদের মধ্যে খিদে বাড়ানোর। দশমীর দিনেও ট্রায়াল হয়েছে। কিন্তু এটাও বলছি, সব কৃতিত্ব ফুটবলারদের। কোচ সঞ্জয়কে অভিনন্দন জানিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী অবশ্য স্পষ্ট করে দিলেন, এখানেই থামলে হবে না। রাজ্য সরকার ক্রীড়া উন্নয়নে দু’হাত তুলে খরচ করছে। খরচের বেলায় কোনও কার্পণ্য নেই। তাই জুনিয়র স্তরে একটা টুর্নামেন্ট জিতেই থেমে গেলে হবে না। বিভিন্ন জেলায় সঞ্জয় সেন, সুব্রত ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষেদের মতো প্রাক্তনদের নিয়ে শিবির করতে হবে। এরই সঙ্গে অরুপ বিশ্বাসের সংযোজন, ভারতীয় দলে এখন একা শুভাশিস বসু। কেন? আমি চাই অন্তত সাতজন বাংলার ফুটবলার জাতীয় দলে খেলুক।
আইএফএ কর্তাকে সামনে রেখে ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, লিগে এখন সাতজন ভিন রাজ্যের ফুটবলার খেলতে পারে। তাহলে কোথা থেকে আমাদের ফুটবলের উন্নতি হবে। কলকাতা ফুটবলে বিদেশিদের খেলা বন্ধ হয়েছে। এবার নিয়ম হোক লিগে শুধু বাংলার ফুটবলাররাই খেলবে। আমাদের রাজ্যে প্রতিভার অভাব নেই। শুধু তাদের তুলে আনতে হবে। তাহলেই আরও সন্তোষ ট্রফি জিতব আমরা। জাতীয় দলে শুভাশিসের পাশে আরও বাংলার ফুটবলারকে দেখতে পাব।

Latest article