প্রতিবেদন : নেতাই গণহত্যার পর কেটে গিয়েছে ১৩ বছর। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় থানার নেতাইয়ে সিপিএম কর্মীদের গুলিতে ৯ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন অনেকেই। সিবিআই তদন্ত শুরু হলেও বিচার পায়নি শহিদ পরিবার। আজও বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে।
আরও পড়ুন-শহি.দদের খু.নিরা এখন গ.দ্দারদের সঙ্গী
নেতাই গণহত্যার ১৩ বছর পূর্তিতে শহিদ তর্পণের মঞ্চ থেকে বিচার দিতে ব্যর্থ সিবিআইকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কল্যাণ বলেন, সিপিএম হার্মাদরা নেতাই-এর বুকে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তাতে প্রাণ গিয়েছিল ন’জনের। তাঁদের আর আমরা ফিরে পাব না। কিন্তু তাঁরা যাতে বিচার পান সেই চেষ্টা আমরা করে যাব শেষ দিন পর্যন্ত। আদালত বুঝেছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার নেতাইয়ের শহিদদের সুবিচার দেবে না। তাই দেরিতে হলেও নেতাই গণহত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারের আমলেই সব থেকে বেশি গণহত্যা হয়েছিল বাংলায়। আর প্রতিটি মামলা করতে হয়েছে আমাকে। উপরওয়ালার আশীর্বাদে প্রতিটি মামলাতেই সাফল্য পেয়েছি। ১৯৯৩-এ ভিখারি পাসোয়ান মামলা দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপর ছোট আঙারিয়া, রিজওয়ানুর রহমান মামলা, নেতাই গণহত্যা— একটি মামলাতেও ট্রায়াল শেষ করতে পারেনি সিবিআই। নেতাই-কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ১৩ বছর। এতদিনেও কেন বিচার পেল না নেতাই?
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী আজ যাচ্ছেন গঙ্গাসাগরে
সিবিআইকে নিশানা করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই ১৩ বছরে কিছু করতে পারেনি আর কিছু করতে পারবেও না। এই মর্মে বিচারব্যবস্থাকেও একহাত নেন সাংসদ। বলেন, শুধু মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিলেই বিচার হয় না। মনে রাখতে হবে, সংবিধান শুধু আইনের বই নয়। সাংবিধানিক অধিকার, মানুষের কথা বলার অধিকার, প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, এটাই ভারতের মানুষের সবথেকে বড় দুর্ভাগ্য। এদিন নেতাইয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে আদিবাসী উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন তৃণমূল সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হয়েছে, তফসিলি প্রবীণদের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে, তফসিলিদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। বাংলার সরকার তফসিলিদের পাশে আছে, তফসিলি মানুষরাও বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পাশে আছেন। গদ্দার অধিকারী ও বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, বাংলার তফসিলি মানুষকে যাঁরা অপমান করেছেন বীরবাহা হাঁসদাকে যাঁরা অপমান করেছেন তাঁদের মানুষ ক্ষমা করবেন না।