প্রতিবেদন : পায়ে আঘাতের কারণে এ-বছর আর সশরীরে পুজোর উদ্বোধনে বের হতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে পুজোর উদ্যোক্তাদের একেবারে নিরাশ করেননি তিনি। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধনে শামিল হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সবরকমভাবে পুজো উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। শ্রীভূমি স্পোর্টিং, টালা প্রত্যয়-সহ কলকাতা ও শহরতলির বেশ কয়েকটি বড় পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্যের মোট ৭৮৮ পুজোর উদ্বোধন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে। নিজের বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, ‘‘আমি এমনিতে ঠিক আছি। কিন্তু আমার পায়ে একটা চোট আছে। সেই চোট সারতে কিছুদিন সময় লাগবে। ওখানে একটা ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে। এখন হাঁটাচলা শুরু করলে ওটা আরও বাড়বে। তাই ডাক্তাররা বারণ করেছেন। আমি সশরীরে আপনাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, মানসিকভাবে আমি আপনাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছি।’ শ্রীভূমিতে দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে পুজোর উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শ্রীভূমিতে প্রতি বছর খুব ভিড় হয়। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করে বিষয়টি দেখবেন। ২৭ তারিখ পুজোর কার্নিভালে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন-পুজোর আগে নির্দেশ জারি পূর্ত দফতরের, জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা মেরামতির উদ্যোগ
হাতিবাগান সর্বজনীনে ভলান্টিয়ারদের ইউনিফর্ম করা হয়েছে নীল-সাদা। এই ইউনিফর্ম বেশ পছন্দ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। হাতিবাগানের পুজোর উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানালেন সেকথা। বললেন, ‘আমার খুব পছন্দ হয়েছে।’ হাতিবাগানের প্রতিমাও বেশ পছন্দ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আহিরিটোলা সর্বজনীনের দেবী প্রতিমা দেখে মুগ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিমাশিল্পীর সঙ্গেও কথা বলে তিনি জানান, কার্নিভালের পর ওই প্রতিমাটিকে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। টালা প্রত্যয়ের প্রতিমা ভার্চুয়ালি দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের থিম ও অন্যান্য সাজসজ্জার বিষয়েও জানতে চান। বলেন, ‘এবার ইউনেসকোর প্রতিনিধিদল অনেক বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে আসছে। তাঁদের জন্য আলাদা রুট করো। পুলিশকেও বলব, তাঁদের যেন গ্রিন চ্যানেল করে নিয়ে যাওয়া হয়। যেন তাঁদের সম্মান ও অতিথিবরণ ভালভাবে করা হয়।’