সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ : দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা জেরা কেন্দ্রীয় এজেন্সির। কিন্তু কেন্দ্রের আধিকারিকরা ৩০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অবৈধ কিছুই পেলেন না। কর্মী- সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের মাঝেই বাড়ি ফিরলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বুধবার দিনভর সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী সহযোগে বিধায়কের বাড়ি ও উত্তরবঙ্গ জুড়ে থাকা তার বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় আয়কর দফতর। কিন্তু তাঁর কোনও দফতর থেকেই অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি বলে দাবি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর।
তিনি বলেন, বিধায়কের পাশাপাশি আমি একজন ব্যাবসায়ী। আয়কর দফতরের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করেছি। দফতরের তদন্তে নয়, যাঁরা দফতরকে অপব্যবহার করছে আমি তাঁদের বিরুদ্ধে। বিধায়ক আরও বলেন, আমার কাছ থেকে স্বচ্ছ কাগজপত্রই পেয়েছে আয়কর। তাই তাদের পাঠিয়ে যারা আমার গায়ে কালি লাগাতে চেয়েছিল তাদের মুখে কালি লেগেছে। কেন্দ্রের বিজেপি-র এই অসাধু উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ইডি, আয়করের হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ আর অভিষেক বন্দ্যোপাপাধ্যায়ের পথে মেরুদণ্ড সোজা করে চলি। অন্যদিকে, এই ৩০ ঘণ্টায় সাধারণ মানুষ যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেজন্য রায়গঞ্জবাসীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিধায়ক। বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে বলেছিলেন, বাড়িতে ইডি পাঠাবেন। কেন্দ্রের সেই চক্রান্ত এই ঘটনায় ফাঁস হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই। বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণীর ব্যবসার দফতর থেকে অবৈধ কিছু মেলেনি।