ধর্মশালা, ১৪ ডিসেম্বর : সিমারদের হাতে দাপুটে জয়। ঠিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মতোই। রবিবার ধর্মশালায় ৪.১ ওভার বাকি রেখে জিতল ভারত (India vs South Africa)। সূর্যকুমার যাদবরা ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে ২-১-এ এগিয়ে গিয়েছেন। বাকি দুই ম্যাচে এখন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
জেতার জন্য ১১৮ রান দরকার ছিল ভারতের (India vs South Africa)। ঠান্ডা আর শিশিরে ধর্মশালার পাটা উইকেট কেন জানি স্লো হয়ে গিয়েছিল। শিশির এর অন্যতম কারণ। এতে খেলা যত গড়াল ততই পরিস্থিতি কঠিন হল। তবে ভারত অনায়াসে জিতলেও কিছু প্রশ্ন থেকেই গেল। জানসেনের বলে একবার ডিআরএসে লেগ বিফোর থেকে বেঁচেও শুভমন গিলের দুঃসময় কাটল না। তিনি সেই জানসেনকেই ২৮ রানে উইকেট দিয়ে এসেছেন।
আরেকজন সূর্য। তিনি ১২ রান করেছেন। এই শুভমন আর সূর্যর অফ ফর্ম ভারতীয় ড্রেসিংরুমকে চিন্তায় ফেলেছে। বিশেষ করে টি-২০ বিশ্বকাপের আর যখন ৭ ম্যাচ বাকি। ওপেনার অভিষেক শর্মা যথারীতি মার মার করে খেলে ১৮ বলে ৩৫ রান করেছেন। পরে তিলক ভার্মা ২৬ ও শিবম দুবে ১০ রান করে নট আউট থেকে যান। বিশাখাপত্তনমে ভারত জেতার পর নিউ চণ্ডীগড়ে সিরিজ ১-১ করে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ধর্মশালায় ভারত আবার এগিয়ে গেল। পরের ম্যাচ লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে বুধবার।
আরও পড়ুন-বিজনেস কনক্লেভে ৮ শিল্পে গুরুত্ব
জসপ্রীত বুমরা কেন দলে নেই তার ব্যাখ্যা দিয়েছে বোর্ড। তারা জানিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে বুমরা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বাকি মাচগুলিতে তাঁকে পাওয়া যাবে কি না সেটা পরে জানানো হবে। বুমরার জায়গায় দলে এলেন হর্ষিত রানা। এছাড়া কুলদীপ যাদবকে খেলানো হল অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলের জায়গায়। বোর্ড অক্ষরকে নিয়ে বলেছে, তাঁর শরীর খারাপ। তবে নিউ চণ্ডীগড়ে হারের পর ছন্দে থাকা কুলদীপকে ফিরিয়ে মার্করামদের উপর চাপ তৈরি করা গেল এতে। যে চাপে ৫ ওভারের মধ্যে ১৪/৩ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ধর্মশালায় বেশ ঠান্ডা। তার উপর, পরে বল করতে গেলে শিশির সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা ছিল। যেটা হয়েছেও । সূর্য তাই টসে জিতে আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে দেন। সিদ্ধান্তটা যে সঠিক ছিল তার প্রমাণ ৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় আফ্রিকানদের। প্রথম ধাক্কা দেন অর্শদীপ সিং। তুলে নেন রেজা হেনড্রিকসকে (০)। রান তখন ১। এরপর ডি’কক (১) ও ব্রেভিস (২) হর্ষিতের শিকার। ব্রেভিস অবশ্য অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে বল স্ট্যাম্পে নিয়ে আসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য এরপরও ১১৭ রান তুলতে পেরেছে। আর সেটা অধিনায়ক মার্করামের জন্য। তিনি ৪৬ বলে ৬১ রান করে যান। ছ’টি চার ও দুটি ছক্কা। গোটা সফরে মার্করাম প্রচুর রান করেছেন। তিনি ছাড়া শেষদিকে ডনোভান ফেরেইরা ২০ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে অর্শদীপ, বরুণ, কুলদীপ ও হর্ষিত দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নেন হার্দিক ও শিবম দুবে। যার অর্থ সিমাররাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন। সবথেকে কৃপণ বোলিং করেছেন অর্শদীপ। তিনি চার ওভারে দেন মোটে ১৩ রান।

