অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ইন্ডিয়া (Abhishek Banerjee- INDIA)। মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদদের ওপর দিল্লি পুলিশের হামলার নিন্দায় সরব ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি। ভয় পেয়েই মোদি সরকার এই আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে ইন্ডিয়া শিবির। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সাংসদদের সঙ্গে দাগী অপরাধীর মতো আচরণ করেছে দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সরকার। যেভাবে রাতের অন্ধকারে দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, বীরবাহা হাঁসদাদের মতো মহিলা সাংসদ, মন্ত্রীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তার নিন্দাতে সরব ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন দল।
মঙ্গলবার রাতে কৃষিভবন থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ (Abhishek Banerjee- INDIA) মহিলা সাংসদ, মন্ত্রীদের যেভাবে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তার নিন্দা করে এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে তার এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের সাংসদদের দিল্লি পুলিশ জোর করে কৃষিভবন থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছে এবং তাঁদের আটক করা হয়েছে। এটা পরিষ্কার যে, কোনও এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে এই কাজটি করা হয়েছে। সাংসদদের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠক করতে না চাওয়া সরকারের খুব দুঃখজনক আচরণ। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক এবং আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর।” উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের সাংসদ এবং দলের জাতীয় মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর বক্তব্য, “মোদি সরকারের অহংকার এবং দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়া, সর্বকালের সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নারী সম্মানের কথা বলেন, এটাই কি তার রূপ? নির্বাচিত সাংসদের প্রতি এই আচরণ বর্তমান জমানায় মহিলাদের পরিস্থিতি স্পষ্ট করে।”
আরও পড়ুন- কানাডার ৪০ কূটনীতিককে ভারত থেকে সরানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্র
বুধবার দিল্লিতে কলকাতা পুরসভার মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন এত ভয় পাচ্ছে বিজেপি? বাংলায় পরাস্ত হয়েছে, সেটাই আসল রাগ। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা সেই রাগেরই প্রতিফলন। অভিষেক ইন্ডিয়া জোটের সদস্য তাঁর বার্তা ছড়িয়ে পড়লে মোদিবাবুর গদি থাকবে না।” তাঁর কথায়, “অভিষেককে মানসিকভাবে ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পরিবারটির মানসিক শক্তি অনেক বেশি।” কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ, “রাজনৈতিভাবে লড়াই করতে না পেরে ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসে অমিত শাহকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। দেশের নামী সংস্থাকে এখন ট্রাফিক পুলিশ ভাবছে দেশ।” তিনি আরও বলেন, “আমি দিল্লিতে রাজনীতি করি না। বাংলায় আন্দোলন, লাঠিচার্জ সব ছিল আমাদের ওপর। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছর এইসব হয়নি। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে, এই অভ্যাস রাখতে হবে। আমরা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমাদের বার্তা ছিল, দুর্নীতি হলে ব্যবস্থা নিন। তবে অধিকারের টাকা দিন।” সাংসদদের প্রতি এই ব্যবহারের পর স্বাধীকারভঙ্গের অভিযোগ তোলা হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি দলের তরফে। যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।