প্রতিবেদন : দিল্লির বৈঠকে বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্তই নিল ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance) শরিকরা। গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার লড়াইয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে বৈঠকের পর জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দীর্ঘ বৈঠকে জোটের ২৭টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় সেখানে। খাড়্গে জানিয়েছেন, একাধিক পরামর্শ এসেছে জোটের নেতৃত্বের কাছ থেকে। তিনি বলেন, এই জনাদেশ মোদির ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে। মানুষ চায় না মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার হোক। এদিনের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলায় ভাল ফলের জন্য অভিষেককে অভিনন্দন জানান জোটের নেতারা। সেইসঙ্গে রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব-সহ তরুণ তুর্কি নেতাদেরও অভিনন্দন জানানো হয়।
বৈঠকে আলোচিত হয় জনমত না মানার সবরকম চেষ্টা করবেন মোদি। তা প্রতিহত করতে হবে। সেই অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপও করতে হবে। সকলেই এবিষয়ে একমত হন মানুষ যে জনাদেশ ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance) দলগুলিকে দিয়েছেন তাঁদের ভরসা ও তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে দায়বদ্ধ আমরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খাড়্গে বলেন, বিজেপির ঘৃণা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায়। এটা গণতন্ত্র রক্ষার রায়। একইসঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও বিশেষ পুঁজিপতিদের তোষামোদের বিরুদ্ধে রায়। ২৭টি দলের শরিকদের মধ্যে অভিষেক, অখিলেশ ছাড়াও এই বৈঠকের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাম হল, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, স্ট্যালিন, সঞ্জয় রাউত, শরদ পাওয়ার, তেজস্বী যাদব, ওমর আবদুল্লা, হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা মুর্মু সোরেন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সরেন-সহ অন্যরা। এবার মোদি ও এনডিএ-কে চেপে ধরতে বদ্ধপরিকর ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলি। আগের মতো আর সহজে কোনও কিছুতে পার পাবে না তারা।
আরও পড়ুন- সমর্থনের শর্তে ব্যাপক দর-কষাকষি, শরিকদের চাপে জেরবার মোদি