প্রতিবেদন : পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর প্রত্যাঘাত শুরু করল ভারত। মূলত আকাশ পথে আক্রমণ চলছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর আইএনএস বিক্রান্ত করাচি বন্দরে আক্রমণ চালিয়েছে। যার জেরে কার্যত ধুলিসাৎ বন্দর। এদিন পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর, সিয়ালকোট, বাহাওয়ালপুর-সহ ১৬ শহরে তুমুল এয়ার স্ট্রাইক শুরু করেছে ভারত। এর মাঝেই বালুচ বিদ্রোহীদের হাতে নাকাল পাকিস্তান। বালুচিস্তান দখল করে নিয়ে তারা পাক পতাকা নামিয়ে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির পতাকা তুলেছে। তারা দখল করেছে কোয়েটা। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির খোঁজ নেই। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাড়ির ২০ কিলোমিটারের মধ্যে বিরাট বিস্ফোরণ হয়েছে। শাহবাজ বাঙ্কারে। সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের উসকানিতেই পহেলগাঁওয়ের ঘটনা। সেই মুনিরের খোঁজ নেই। শোনা যাচ্ছে তার বদলে নতুন সেনাপ্রধান শামদাদ মির্জা হতে চলেছেন। এদিকে পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমান একের পর এক এয়ার স্ট্রাইকে ধ্বংস করেছে ভারত। ভারতের লাগাতার ড্রোন আর মিসাইল আক্রমণে কার্যত কুপোকাত পাকিস্তান। কেন্দ্র ঘটনার পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছে। পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৭টি বিমানবন্দর বন্ধ। ইন্ডিয়া গেট থেকে মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুর পুরোদস্তুর জারি রয়েছে। পাকিস্তান ভারতের ১৫টি সেনা ছাউনিতে মিসাইল ও ড্রোন আক্রমণ চালালেও তা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। এরা নির্লজ্জভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন। মূলত পুঞ্চের গুরুদ্বার ও শিখ কমিউনিটিকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এখবর জানিয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের তরফে ফের মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালানো হয় জম্মু ও পাঠানকোট এয়ার বেসে। যদিও তা মাঝ আকাশে প্রতিহত করে সেনা। ধ্বংস করা হয় ড্রোন। এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে আকাশেই নিষ্ক্রিয় করা হয় পাকিস্তানি মিসাইল। এদিন ব্ল্যাক আউট করা হয় জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের একাধিক শহর। বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের একটি এফ ১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামায় সেনা। ভারতের অপারেশন সিঁদুর চলছে। পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তছনছ করে দিয়ে ৯টি শহরে পরপর ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলা হয়নি৷ মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেঁপে উঠছে পাক জঙ্গিদের মাটি। বৃহস্পতিবার সকালে লাহোর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মোট ৯টি শহরের উপর ১২টি হার্প ড্রোন হামলা হয়েছে। ১৫টি এলাকার মাটি কেঁপে উঠেছে। লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, গুজরানওয়ালা, চকওয়াল, আট্টক, বাহাওয়ালপুর, মিঁয়াওয়ালি, ছোড় ও করাচিতে ড্রোন হামলা হয়েছে। জঙ্গিদের দিয়ে কাশ্মীরে হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি পাকিস্তান। ফের গোলাবর্ষণ করেছে গুলমার্গে। একজন মারাও গিয়েছেন। অত্যাধুনিক যে হার্প ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে পাকিস্তানে, সেই ড্রোন হল ইজরায়েল অ্যারোস্পেস আইএআইএফ-এর এমবিটি মিসাইল বিভাগের তৈরি আক্রমণাত্মক ড্রোন। এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্রের উপর দিয়ে উড়ে বেড়াতে পারে। ড্রোনটি রিমোট কন্ট্রোলে সক্ষম। এবং যদি এটি কোনও আঘাত না পায় তবে হামলা করে জায়গায় ফিরে আসতে পারে। মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। চিনের তৈরি করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এইচ কিউ-৯ মিসাইল লঞ্চার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের মাটিতে একাধিক সেনা ছাউনিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করছিল পাকিস্তান। মোট ১৫টি হামলার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। কিন্তু সবগুলিই মাঠে মারা গিয়েছে। মাঝ-আকাশেই সবগুলি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক এই নিরাপত্তা-ব্যবস্থার পোশাকি নাম ‘সুদর্শন চক্র’। বুধবার বালুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ-র দুটি পৃথক হামলায় ১৪ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হয়েছে। আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিএলএ, সুতরাং চাপ বাড়ছে পাকিস্তানের। পাকিস্তানের এই হামলার জবাব দিতে দেরি করেনি ভারত। আজ সকালে সে-দেশের এয়ার ডিফেন্স রেডার ও সিস্টেমে আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। এই কাজে পাঠানো হয়েছিল হার্প ড্রোন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতে জানানো হয়েছে, ঠিক যে-ধরনের হামলা তারা চালিয়েছিল, সেইমতোই জবাব দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। এদিনের ভারতীয় হানায় লাহোরের কাছে পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷
এদিন মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানায়, ৭ ও ৮ মে রাতে পাকিস্তানের তরফে অবন্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদামপুর, ভাতিন্ডা, ফালাওদি, কাপুরথালা, চণ্ডীগড়, উতারলাই এবং ভুজে আক্রমণ চালানো হয়৷ ভারতীয় সেনা তা প্রতিহত করে৷ জানিয়েছেন উইং কমান্ডার ভূমিকা সিং৷
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। নিকেশ করা হয় শতাধিক জঙ্গি। অপারেশন সিঁদুর চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ভারতীয় সেনা বিশ্বের প্রথম সারির সুরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম এই সিস্টেমকে ব্যবহার করে করেছে বাজিমাত। অন্তত ৬০০ কিমি দূর থেকে উড়ে আসা মিসাইল চিহ্নিত করতে পারে এই সুদর্শন চক্র। এমনকী ৪০০ কিমি দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আর তাতেই পাকিস্তানের ড্রোন হামলার যাবতীয় পরিকল্পনা মাটিতে মিশে যায়।
আকাশে-জলে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাচ্ছে ভারত
ভারতের আক্রমণে ছাড়খার করাচি বন্দর, লাহোর। ৫টি পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করল ড্রোন। ২টি জেএফ-১৭, ১টি এফ-১৬ ধ্বংস করল ভারত।
