মোহালি, ২২ সেপ্টেম্বর : বিরাট, রোহিত, হার্দিক, সিরাজ, কুলদীপ-বিহীন রাহুলের দলকে ভারতীয় (India-Australia) বি দল মনে হয়েছিল অনেকের। কিন্তু তাতেও পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অনায়াসে হারাল ভারত। শামির ফাইফার। শুভমন ও ঋতুরাজের জোড়া হাফ সেঞ্চুরি। তারপর রাহুল-সূর্যর ৮০ রানের পার্টনারশিপ। এবং অস্ট্রেলিয়ার ২৭৬-কে ৮ বল বাকি রেখে টপকে সহজ জয়। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগোল ভারত।
প্রথম ১০ ওভারে ৬৬/০ তুলে ভারত ভাল শুরু করেছিল। ঈশান নয়, শুভমনের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে এসেছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। হ্যাংঝাউ এশিয়াডে যাঁর ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। দেখা গেল শুভমনের ফর্মের ছোঁয়া লেগেছে আইপিএলে ধোনির দলে খেলা ব্যাটারের মধ্যেও। এই জুটি বিনা উইকেট একশো রান তুলে দিল।
শুভমনকে বিশ্বকাপের সেরা বাজি বলেছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ভুল বলেননি বোঝা গেল শুক্রবার। কামিন্স, অ্যাবট, স্টয়নিস, গ্রিন ও জাম্পাকে নিয়ে শক্তিশালী বোলিং লাইন-আপ সফরকারীদের। কিন্তু দুই তরুণ ওপেনারের সামনে দাঁড়াতেই পারল না এই বোলিং। ৮.৪ ওভারে ৫০ রান তুলে ফেলেছিলেন তাঁরা। ১০০ রান উঠল ১৫.২ ওভারে।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ জার্সি প্রকাশ অস্ট্রেলিয়ার
কিন্তু ১৪২/০ থেকে ভারত চার ওভারে ১৫১/৩ হয়ে যাওয়ার পর চাপ অবশ্য হয়েছিল। জাম্পা এসে পরপর তুলে নেন ঋতুরাজ (৭১) ও শুভমনকে (৭৪)। মাঝখানে রান আউট হয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার (৩)। এরপর আরও ধাক্কা ঈশানের (১৮) উইকেটে। ভারত তখন ১৮৫। তবে এই চাপ আর দীর্ঘায়িত হয়নি রাহুল (৫৮ নট আউট) ও সূর্যর (৫০) জন্য। তাঁদের জুটিতে জয়ের দরজা খুলে যায় অতি সহজে। অ্যাবটকে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন স্ট্যান্ড ইন অধিনায়ক রাহুল। নট আউট ছিলেন জাদেজাও।
সিরাজ ও কুলদীপকে ছাড়া মোটামুটি বিশ্বকাপের বোলিং লাইন-আপ নিয়েই শুক্রবার মোহালিতে নেমেছিল ভারত। উল্টোদিকে সেরা অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং লাইন-আপ। মার্শ, স্মিথ, ওয়ার্নার, লাবুশানে, গ্রিন। সেই দলকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে অল আউট করে দেওয়াটা অবশ্যই কৃতিত্বের। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ততক্ষণে বোর্ডে ২৭৬ রান তুলে ফেলেছিল।
তবে মহম্মদ শামির ফাইফারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যাবে না। এশিয়া কাপে সব ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি বঙ্গ পেসার। জবাব ঘরের মাঠে প্রথম সুযোগেই দিয়ে দিলেন। অস্ট্রেলিয়ার ৪ রানে শামি প্রথমে তুলে নেন ওপেনার মার্শকে (৪)। পরে এসে আরও চার উইকেট। তিনি আউট করেছেন স্মিথ (৪১), স্টয়নিস (২৯), শর্ট (২) ও অ্যাবটকে(২)।
মোহালিতে বরাবর রান হয়। রাহুল একটু ঝুঁকি নিয়েই টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে (India-Australia) ব্যাট করতে ডেকেছিলেন। শুরুতে মার্শকে ফিরিয়ে ভারতীয়রা ভাল শুরু করলেও পরে ওয়ার্নার (৫২) আর স্মিথ মিলে ৯৪ রানের পার্টনারশিপ খেলে পরিস্থিতি সামলে দেন। এরপর লাবুশানে (৩৯) ও জস ইঙ্গলিশ (৪৫) দলের রানকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে গেলেন। স্টয়নিস করেন ২৯ রান।
ওয়াশিংটন সুন্দরকে প্রথম এগারোয় না রেখে ভরসা রাখা হল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উপর। বার্তা খুব স্পষ্ট। বিশ্বকাপে অক্ষর প্যাটেল ফিট না হলে খেলবেন অশ্বিন। যিনি ১৮ মাস বাদে ওডিআই জার্সি গায়ে ১০ ওভারে ৪৭ রানে একটি উইকেট নিলেন। একটি করে উইকেট বুমরা ও জাদেজার। কিন্তু শার্দূল ঠাকুর ১০ ওভারে ৭৮ রান দিয়ে
উইকেট তুলতে না পেরে বিশ্বকাপ দৌড়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়লেন।